ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ওয়াশিংটন সফরে জাপানের শুল্কদূত

মন্ত্রী রিয়োসেই আকাজাওয়া ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং ১৮ এপ্রিল ফিরে আসবেন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
ওয়াশিংটন সফরে জাপানের শুল্কদূত শুল্ক নিয়ে আলোচনায় জাপান।

আসন্ন শুল্কবিষয়ক আলোচনার জন্য জাপানের বিশেষ দূত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। টোকিও থেকে এএফোপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগকারী হয়েও জাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যিক চাপ এড়াতে পারেনি।


ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত শুল্কের আওতায় রয়েছে গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ কর এবং অধিকাংশ জাপানি পণ্যের ওপর ২৪ শতাংশ 'পারস্পরিক' শুল্ক—যা গত সপ্তাহে অন্যান্য দেশের মতো জাপানের ক্ষেত্রেও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে জাপানি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ এবং সাধারণভাবে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।


মন্ত্রিপরিষদের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী রিয়োসেই আকাজাওয়া ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং ১৮ এপ্রিল ফিরে আসবেন। ওই কর্মকর্তা বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে ধারণা করা হচ্ছে আকাজাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।


সফরের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি গাড়ি খাতে কিছুটা নমনীয় হতে পারেন এবং ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি কোম্পানিগুলোর জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ করা আকাজাওয়া প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট সোমবার জানিয়েছেন, জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বুধবার অনুষ্ঠিত হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে আগামী সপ্তাহে। ‘এই আলোচনাগুলো খুব দ্রুত এগোবে,’ তিনি ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন।


দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু সোমবার বলেন, ওয়াশিংটনের অবস্থান এখনও কঠোর হলেও ‘পারস্পরিক শুল্ক’ ও ‘পণ্যভিত্তিক শুল্ক’-এর মতো কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখাচ্ছে। ‘আমরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছি,’ তিনি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেন।


‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ আমাদের জন্য একপেশে হুমকি হলেও, আমরা যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারলে এটি আমাদের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও রপ্তানিমুখী প্রতিযোগিতা বাড়ানোর অনুঘটক হিসেবেও কাজ করতে পারে,’ তিনি যোগ করেন। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী আইরলাঙ্গা হার্তার্তো জানিয়েছেন, তিনি ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—যাদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুগিয়োনো এবং অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলইয়ানি ইন্দ্রাওয়াতি—বুধবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন।


সূত্র: এএফপি


এসজেড