অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন দেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যে হবে না, তা স্পষ্ট করে বলেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।”
তিনি জানান, বৈঠকে বিএনপি নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে। তারা মনে করে, চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব।
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও রোডম্যাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ফখরুল বলেন, “সরকার যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমরা সহযোগিতা করছি। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি এবং আগামীকাল ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব বিষয়ে সব দল একমত হবে, সেগুলোর একটি চার্টার তৈরিতে আমরা রাজি আছি। সেই ভিত্তিতে নির্বাচনের পথে এগোনো যেতে পারে। বাকি সংস্কার বাস্তবায়নের দায়িত্ব হবে নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের।”
বিএনপির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী সময়সূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি। এতে বিএনপি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং পুনরায় জোর দিয়ে বলেছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া দরকার।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
thebgbd.com/NIT