বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মঙ্গলবার বলেছেন. মার্কিন তহবিল হ্রাস জাতিসংঘের সংস্থাটির বিশাল বাজেট ঘাটতিতে ফেলেছে, যার ফলে এটি কার্যক্রম কমাতে ও কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। জেনেভা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস মঙ্গলবার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এক উপস্থাপনকালে বলেন, ‘আয়ের হঠাৎ হ্রাস আমাদের বেতনের একটি বিশাল ঘাটতিতে ফেলেছে, যে কারণে আমাদের কাজ ও কর্মী হ্রাস করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’ ঐতিহ্যগতভাবে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থার বৃহত্তম দাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী জানুয়ারিতে পরিকল্পিত সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের জন্য সংস্থাটি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইতোমধ্যে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য সম্মত সদস্যপদ ফি যাকে মূল্যায়নকৃত অনুদান বলা হয় তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এমনকি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলোতে বিশাল সহায়তাসহ প্রায় সমস্ত মার্কিন বিদেশি সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। আরও বেশ কিছু দেশও তাদের বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে, ডব্লিউএইচও একটি নতুন সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে ভাবছে, যা টেড্রোস মঙ্গলবার কর্মী ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, ‘২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়নকৃত অনুদান পরিশোধে অস্বীকৃতি এবং কিছু অন্যান্য দেশের সরকারি উন্নয়ন সহায়তা হ্রাসের ফলে আমরা ২০২৬-২৭ দ্বিবার্ষিক অর্থবর্ষে ৫৬০ থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বেতন বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছি।’
তিনি বলেন, বর্তমানে কর্মী ব্যয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্বকারী সহায়তার পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে । তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এর অর্থ এই নয় যে পদের সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমানো হবে।’ ঠিক কতজন চাকরি হারাবে তিনি তা বলেননি, তবে তিনি বলেছেন যে জেনেভায় অবস্থিত সংস্থার সদর দপ্তরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনায় হ্রাস দিয়ে শুরু করছি।’
টেড্রোস বলেন, ‘আমরা সদর দপ্তরে সিনিয়র নেতৃত্ব দলের সংখ্যা ১২ থেকে কমিয়ে সাতটিতে নামিয়ে আনছি এবং বিভাগের সংখ্যা (অর্ধেকেরও বেশি) কমিয়ে ৭৬ থেকে ৩৪ করা হবে।’ ‘এগুলো আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক সিদ্ধান্ত।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড