ভারতের কলকাতার সঞ্জীবা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে যে মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছিল তা মানুষের বলে প্রমাণ পেয়েছে বিশেষজ্ঞরা। ফরেনসিক পরীক্ষার এ তথ্য জানান ভারতের বিশেষজ্ঞরা। তবে উদ্ধার হওয়া ওই মাংস বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের কিনা তা, জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে, নতুন করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে গতকাল রোববার নিউটাউনের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। গতকাল নেপালে আটক সিয়ামকে নিয়ে কলকাতা সিআইডি খাল থেকে উদ্ধার করে বড় ও মাঝারি সাইজের সাতটি এবং বুক ও পাঁজর-সহ ১২টি হাড়। হাড়গুলি মূলত হাতের এবং কোমর থেকে পায়ের হাঁটুর।
রিমান্ডে নেওয়া সিয়াম হোসেন এরইমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে কলকাতা সিআইডিকে। জানা গেছে, সিয়াম পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিনের অধীনে মাসিক ষাট হাজার টাকা বেতনে কাজ করতো। এছাড়া শাহিনের নির্দেশেই সে জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতা এনেছিল। তাকে রাজারহাটে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে রেখেছিল।
সিয়াম জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র, পলিথিন, ট্রলি ব্যাগ সবকিছুই কিনে আনা হয়েছিল নিউমার্কেট এলাকা থেকে। অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়সাল এবং মুস্তাফিজ রহমান মাংস কিমা করার মেশিন কিনে এনেছিল।
আনারকে হত্যা করার পর তার মাংস এবং হাড় আলাদা করা হয়। তারপর ছোট ছোট টুকরো এবং কিমা করা হয় ওই মেশিনে। ওই মেশিন এখন কোথায় তা জানে শুধু ফয়সাল সাজি।
মাংসের টুকরো ও হাড় উদ্ধার হলেও এখনো খোঁজ নেই সংসদের মাথার খুলি, কিংবা ব্যবহার করা অস্ত্রের। সিয়াম জানিয়েছে, তারা একটি গাড়ি ভাড়া করে কৃষ্ণমাটিতে গিয়ে ট্রলিব্যাগ থেকে হাড় এবং মাথার অংশ ট্রলি থেকে বের করে খালের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়েছিল।
আর কয়েক ধাপে, ভারতীয় নৌ সেনার সাহায্যে তল্লাশি করা হবে নিউটাউন অন্তর্গত ভাঙরের সাতুলিয়া এলাকার বাগজোলা খালে। তখন আরও দেহংশ মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দারা।
সূত্র : আনন্দবাজার