ইউক্রেন সংকট নিষ্পত্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ২৩ এপ্রিল লন্ডনে অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে একটি সাত-দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি থাকলেও ইউক্রেনের জন্য কোনো সুস্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকছে না জানিয়েছে লন্ডনের দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ।
পত্রিকাটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পরিকল্পনার প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনার কথা বলা হয়েছে। তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের সম্ভাবনা খোলা রাখা যাবে।
চতুর্থ দফায় ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সার্বভৌম অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চম দফায় রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘মুক্ত’ অঞ্চলগুলোকে কার্যত রাশিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। ডেইলি টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও এই পরিকল্পনায় রয়েছে।
ষষ্ঠ দফায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি খনিজসম্পদ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের কথা বলা হয়েছে। সপ্তম ও শেষ দফায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে থাকবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও জ্বালানি সহযোগিতা শুরু করার বিষয়টি।
পত্রিকাটি মন্তব্য করেছে, ‘এই পরিকল্পনা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে, কারণ এতে ইউক্রেন ভূখণ্ড হারাবে, কিন্তু এর বদলে কোনও সুস্পষ্ট মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাবে না।’ ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগ ২৩ এপ্রিল লন্ডনে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফ এই প্রস্তাব রাশিয়া সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে মস্কো যাবেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড