আগামী মাসে চট্টগ্রামের রাস্তায় নামছে ৩৮ আসনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সার্ভিস। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত প্রতিদিন যাতায়াত করবে ২০টি বাস। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রামের ১৪ নম্বর রুটে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। এর মধ্যে ২৫০টি নন কাউন্টার ভিত্তিক ও ৫০টি কাউন্টার ভিত্তিক বাস সেবা দিচ্ছে। ওই রুটে আরও নামতে যাচ্ছে ২০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস।
চট্টলা চাকার এসি বাসগুলো পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় পরিবহন সংস্থা শান্তি পরিবহন লিমিটেড। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে বহদ্দারহাট, জিইসি, আগ্রাবাদ হয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত যাবে বাস। সর্বনিম্ম ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্টারভিত্তিক এসি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়ায় খুশি যাত্রীরা
যাত্রীরা জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য এটা ভালো হবে। অনেক সময় ভর্তিবাসে উঠতে কষ্ট হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের লোক ওঠে গাড়িতে। তাই ছিনতাইয়েরও ভয় থাকে। তবে এসি বাসে এমনটা থাকবে না আশাকরি।
মূলত বাসগুলোর চেসিস ভারতীয় কোম্পানি টাটা মটরর্সের হলেও বডিগুলো দেশেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকায় বাসগুলো তৈরি হচ্ছে। জুনের মধ্যেই বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করতে ইতোমধ্যেই ১০টি বাস প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান।
তিনি বলেন, ‘ দূর্ষণমুক্ত এসি বাসগুলোতে নিরাপত্তায় থাকবেন যাত্রীরা। নারী যাত্রীরা নির্দিষ্ট আসনে স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক আইনুল হুদা বলেন, ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় গরমে যাত্রীরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবেন। আবার যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার সুযোগ না থাকায় নিশ্চিত হবে নিরাপত্তা।’
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে বাসের জন্য ১৭টি, হিউম্যান হলারের জন্য ১৮টি ও অটোটেম্পোর জন্য ২০টি রুট রয়েছে।