‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফাহতে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। গত ৬ মে অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ফিলিস্তিনি সেখান থেকে সরে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
রাফাহ শহরের পাশাপাশি উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে। গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ মে থেকে রাফাহর প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ‘৬ মে থেকে প্রায় ৬ লাখ মানুষ- যা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ- রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কারণ সেখানে ইসরায়েলি স্থল অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ গত ৪৮ ঘণ্টায় রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে।