ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কোটি টাকা না দিলে ১০ মামলা, ওসি-এসআই প্রত্যাহার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেনকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৫ মে, ২০২৫
কোটি টাকা না দিলে ১০ মামলা, ওসি-এসআই প্রত্যাহার ছবি : সংগৃহীত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেনকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।


ডিএমপির মুখপাত্র ও উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওসি এবং এসআইয়ের বিরুদ্ধে নেওয়া এই পদক্ষেপ ‘প্রশাসনিক কারণে’ সাময়িক প্রত্যাহারের আওতায় পড়েছে।


অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে ডিএমপি কমিশনারের কাছে শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ড. ওয়াদুদ দাবি করেন, ২৯ এপ্রিল রাতে কলাবাগান থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান এবং এসআই বেলাল হোসেনসহ একদল পুলিশ সদস্য তাঁর বাসায় হামলা চালিয়ে চাঁদা দাবি করেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।


ড. ওয়াদুদ আরও বলেন, রাত দেড়টার দিকে এসআই বেলালের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ সদস্য এবং কয়েকজন সন্ত্রাসী তাঁর বাসায় প্রবেশ করে। সেসময় তাঁর ম্যানেজার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ আসে। পরে শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিমের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবে ওসি মোক্তারুজ্জামান তাঁদের চলে যেতে বলেন।


অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ সদস্য মান্নান ড. ওয়াদুদকে আড়ালে নিয়ে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং এই টাকা দিলে থানায় নেওয়া হবে না বলে জানান। বাড়িতে রেখে যাবে। কী মামলা হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায়, কোনো মামলা হয়নি; তারা টাকার জন্য এসেছে। যদি টাকা না দেই তাহলে আমার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হবে।


দেন-দরবারের এক পর্যায়ে তিনি দুই লাখ টাকা তুলে দেন, বাকি টাকা পরের দিন ব্যাংকিং আওয়ারে দেওয়ার শর্তে। এরপর তিনজন সিভিল পোশাকধারী পুলিশ সদস্য বাসায় পাহারায় রেখে যান, যারা নিজেদের ডিবি পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেন।


thebgbd.com/NA