ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহ শুরু

৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আম সংগ্রহ কার্যক্রম।
  • | ১৬ মে, ২০২৪
চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহ শুরু সংগৃহীত

৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আম সংগ্রহ কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের মহিলা কলেজপাড়ার একটি আমবাগানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।


আমবাগান চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। 


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ ও দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, জেলা বিপণন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।


চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছে। জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন। 


অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা জানান, এ জেলায় উৎপাদিত আম অত্যান্ত ভাল মানের। সে কারণে আম পাড়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানতে হবে। উৎপাদিত গুণগত মানের আম বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেয়া জরুরি। এ জেলার আম ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অন্য কোন জেলা থেকে অপরিপক্ক আম ঢুকতে দেয়া হবে না।


এছাড়া আম বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অবস্থাতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া এবং পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুত করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুয়ায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, ১৬ মে থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪মে থেকে হিমসাগর, ৩০মে থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলী জাতের, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা/বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ হবে।