ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ২৬-২৯ মে’র মধ্যে আঘাত হানার আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে ভারতের উড়িষ্যা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মে, ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ২৬-২৯ মে’র মধ্যে আঘাত হানার আশঙ্কা ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, ২৬ থেকে ২৯ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে, যার নাম শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবনায় রাখা হয়েছে ‘শক্তি’। ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে ভারতের উড়িষ্যা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল না হলেও ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি সার্কুলেশন সৃষ্টি হতে পারে, যা ধীরে ধীরে নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এখনো এটি নিশ্চিত করেনি।


বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ‘শক্তি’ নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং সময়মতো নির্দেশনা দেওয়া হবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মে মাসে দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকে বেশি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝড়ের গতিপথ ও আচরণ আগের তুলনায় অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।


বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উপকূলীয় বাসিন্দাদের এখন থেকেই সতর্কতা নিতে হবে। মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানার পর ব্যাপক দুর্ভোগ তৈরি হয়েছিল। চলমান দাবদাহের মধ্যেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ জনমনে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।


thebgbd.com/NIT