রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত ছাপিয়ে এখন প্রধান সড়ক দখল করে বসছে অস্থায়ী বাজার। মাঝ রাস্তায় মোটরসাইকেল-প্রাইভেট কার থামিয়ে সদাই করছেন অনেকে। এতে তৈরি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। অফিসে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে কর্মজীবীরা। আবার ময়লা-আবর্জনার কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অস্থায়ী বাজার সরাতে গেলে প্রশাসনের সঙ্গে দোকানিদের চলে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। হচ্ছে না কোনো সমাধান।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত কয় মাসে ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কও ভাসমান বাজারের দখলে। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। বাড়ছে জনভোগান্তি। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর, বাড্ডা থেকে যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠানামা করছে গণপরিবহন। এছাড়া রাস্তাজুড়ে রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির পার্কিং।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ মোটরসাইকেল কেউবা প্রাইভেট কার থামিয়ে মাঝ রাস্তায় ভাসমান দোকান থেকে করছেন বাজার-সদাই। এতে ২০-৩০ সেকেন্ডের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১০-১৫ মিনিট।
এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরই ভ্রুক্ষেপ নেই। অন্যদিকে, গন্তব্যে পৌঁছাতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে কাজে বা প্রয়োজনে বের হওয়া ব্যক্তিদের।
আরও পড়ুন: মহাসড়কও ভাড়া দিয়ে ‘খাচ্ছে’ গাজীপুরের স্থানীয় প্রশাসন!
শুধু মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী নয়; রাজধানীর অন্যান্য এলাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিও ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে। কারো সরকারি জায়গায় নিজেরাই এখন এসব দোকানের মালিক বলে দাবি তাদের।
এই ভোগান্তির শেষ কোথায় তা যেন কারোই জানা নেই। তবে সড়কে ভাসমান দোকান ও বাজার সরাতে আইন প্রয়োগ করতে গেলে চলে ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খেলা। লোকবল সংকটের কারণ দেখিয়ে সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, জনসাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করলেই সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব।
ডিএমপির (গণমাধ্যম বিভাগ) উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন,
শুধু পুলিশ নয়, সবারই ভূমিকা রয়েছে। ধরুন, কাউকে উচ্ছেদ করলাম, কিন্তু পরে সে আবার এসে দখল করলো। এটা তো কাম্য না। আমরা চাই, সবাই যার যার অবস্থান থেকে আইন মেনে চলুক।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, ‘রাস্তায় লোকবল বসিয়ে রাখার মতো সিটি করপোরেশনে ওইরকম সেটআপ নেই। সেখানে আমরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট আরও অনেককেই কাজ করতে হবে।’
রাজধানীতে অস্থায়ী বাজার গড়ে ওঠায় যানযটে কর্মঘণ্টা নষ্টের পরিমাণ আরও বাড়ছে। তবে সড়ক ও ফুটপাতে চলাচলে ভোগান্তির অবসান চান নগরবাসী।
thebgbd.com/NIT
