ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন।
  • | ১৮ মে, ২০২৪
কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে সংগৃহীত

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিকগতভাবে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন নগরী কক্সবাজার। যার কারণে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীতে ৬ একর জমিতে হচ্ছে অত্যাধুনিক মডার্ন ফায়ার স্টেশন। এরই মধ্যে সীমানাপ্রাচীর দেয়াসহ মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।


পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। একইসঙ্গে রয়েছে তিন শতাধিক রেস্তোরাঁ। রয়েছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ আশ্রয় শিবির।


যেখানে কয়েক লাখ শেডে বসবাস করছে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আর উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় প্রতিনিয়ত মোকাবিলা দুর্যোগের সঙ্গে করতে হয়। 


কক্সবাজারে রয়েছে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ট্যুরিজম পার্ক। একই সঙ্গে বাস্তবায়ন হচ্ছে সরকারের বড় বড় মেগাপ্রকল্পগুলো।


তাই অর্থনৈতিক ও ভৌগলিকগতভাবে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার অঞ্চল। সবকিছু বিবেচনা করে কক্সবাজারে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক ফায়ার স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।


কক্সবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীতে ৬ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক ফায়ার স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।


চট্টগ্রামস্থ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিনুমণি শর্মা বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে টেকনাফের সাবরাং-এ, রয়েছে বিশাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মেরিন ড্রাইভ চার লেনে উন্নীত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এখানে যে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করবে। 


সেই যাত্রীদের বিভিন্ন দুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মহাপরিচালক একটি সুন্দর ও মডেল ফায়ার স্টেশন গড়ার লক্ষ্যে এই জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছে। একটা কক্সবাজার এবং টেকনাফের মধ্যবর্তী স্থানে। এখানে প্রায় ছয় একরের চেয়ে বেশি জমি ক্রয় করেছি এই স্টেশন নির্মাণের লক্ষ্যে। আশা করি, এই স্টেশনটি তৈরি হলে এই বৃহত্তর অঞ্চলের মানুষের অনেক উপকার হবে।


দিনুমণি শর্মা আরও বলেন, কক্সবাজার একটি উপকূলীয় অঞ্চল। যেখানে প্রতিনিয়ত জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় এই এলাকার জনপদে আঘাত করে। তাদের দুঃসময়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। এই লক্ষ্য নিয়েই এই সুন্দর জায়গাটা বেছে নিয়েছি মডেল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য।


এরই মধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীতে ক্রয় করা হয়েছে ৬ একর জমি। যেখানে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। দেয়া হচ্ছে সীমানা পিলার ও দেয়াল। সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে মাস্টারপ্ল্যানও।


ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, এই স্টেশনে সব ধরনের অত্যাধুনিক লজিস্টিক সাপোর্টের পাশাপাশি থাকবে আধুনিক প্রযুক্তির সব ধরনের সরঞ্জামও।


ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. ইকবাল বাহার বুলবুল বলেন, কক্সবাজারে আধুনিকমানের মডার্ন ফায়ার স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হচ্ছে। এখানে সব ধরনের অত্যাধুনিক লজিস্টিক সাপোর্ট থাকবে।


আধুনিক প্রযুক্তি সব ধরনের সরঞ্জামও মজুত থাকবে। যাতে যেকোনো বিপর্যয়ে দ্রুত মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করা যায়। যেসব লজিস্টিক সাপোর্টের সুবিধা আছে সেগুলো নিয়ে যেন মানুষের সেবায় দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি। চারিদিকে যে ইউনিটগুলো আছে সে ইউনিটগুলোর জন্য যেন সাপোর্ট দিতে পারি। 


এখন সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ চলমান। সঙ্গে মাস্টারপ্ল্যানের কাজও চলমান। যতগুলো সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে এগুলো মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। সবগুলো কাজ মাথায় রেখেই মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে।