ঢাকা | বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় তৃতীয় সপ্তাহে বিক্ষোভ

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দিবেইবার একাধিক নির্বাহী আদেশ জারিও সংঘাতের আরেকটি কারণ।
  • অনলাইন ডেস্ক | ৩১ মে, ২০২৫
লিবিয়ায় তৃতীয় সপ্তাহে বিক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে।

ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দিবেইবার পদত্যাগের দাবিতে টানা তৃতীয় সপ্তাহের বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার শত শত বিক্ষোভকারী শহরের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হন। ত্রিপোলি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয়, ‘দিবেইবা পদত্যাগ করো’, ‘জনগণ সরকারের পতন চায়’ এবং ‘জয় হোক লিবিয়ার’। শুক্রবার বিকেল নাগাদ কমপক্ষে ২শ’ জন জমা হলেও পরে সেখানে যোগ দেন আরও কয়েক শ’ মানুষ। অনেকে গাড়ি থেকে মাইক ব্যবহার করে প্রতিবাদী স্লোগান সম্প্রচার করেন।


২০১১ সালে পশ্চিমা সমর্থিত আন্দোলনে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটি চরমভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার এবং পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সামরিক শক্তিশালী নেতা খলিফা হাফতারের পরিবার নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দু’পক্ষের বিরোধের কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।


জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ত্রিপোলির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন নিহত হয়। এই সহিংসতা শুরু হয় দিবেইবার মিত্র ৪৪৪ ব্রিগেড দ্বারা এক সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার পর। পরে ওই ব্রিগেডের সঙ্গে রাদা ফোর্স নামের আরেকটি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়, যারা ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চল ও বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করে।


সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দিবেইবার একাধিক নির্বাহী আদেশ জারিও সংঘাতের আরেকটি কারণ। কারণ, আদেশের মধ্যে রাদা ফোর্সসহ কিছু গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ৪৪৪ ব্রিগেড ছিল সেই আদেশের বাইরে। 


এই ঘটনার পর থেকেই সরকার ও লিবিয়ায় জাতিসংঘ মিশন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে নতুনভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে দিবেইবার সমর্থনেও একটি বিক্ষোভ হয় ত্রিপোলিতে। সেখান থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনা করা হয় এবং লিবিয়ার ১৯৫১ সালের সংবিধান পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়। ১৯৬৯ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর সেটি বাতিল করেন গাদ্দাফি।


সূত্র: এএফপি


এসজেড