ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত ৭, আহত ৬৯

রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ক্লিমোভো থেকে রাজধানী মস্কোর দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০১ জুন, ২০২৫
রাশিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত ৭, আহত ৬৯ দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজ।

উক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি সেতু ধসে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় সাতজন নিহত এবং তিন শিশুসহ কমপক্ষে ৬৯ জন আহত হয়েছেন। মস্কো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ দুর্ঘটনাকে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’ বলে অভিযোগ করেছে। আঞ্চলিক গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ এ তথ্য জানিয়েছেন। মস্কো  থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।


আঞ্চলিক গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, ‘রেল লাইনের ওপর একটি সেতু ধসে পড়ার ফলে সাতজন নিহত এবং তিন শিশুসহ ৬৯ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মস্কো রেলওয়ে জানিয়েছে, ‘পরিবহন পরিচালনায় অবৈধ হস্তক্ষেপের ফলে একটি সেতুর স্প্যান ভেঙে পড়ার কারণে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে’। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মী অভিযান শুরু করে।


মস্কো রেলওয়ে টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের পিলশিনো এবং ভাইগোনিচি স্টেশনে স্থানীয় সময় রাত ১০ টা ৪৪ মিনিটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেছে, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ক্লিমোভো থেকে রাজধানী মস্কোর দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।


প্রসিকিউটররা বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত শুরু করেছেন। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধার দল পাঠিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার রেলওয়ে জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে মেরামত ট্রেন পাঠিয়েছে। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনার ফলে অন্যান্য ট্রেন চলাচলের ওপর প্রভাব ফেলেনি।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে রাশিয়ার রেলওয়ের একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের স্থানে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। অন্য এক ভিডিওতে দেখা গেছে যাত্রীরা চিৎকার করছে।


কর্তৃপক্ষ কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে এবং ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’ বলতে রেলওয়ে অপারেটর কী বোঝাতে চেয়েছিল তা ব্যাখ্যা করেনি। ২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর থেকে রাশিয়া কয়েক ডজন নাশকতার শিকার হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো তার বিশাল রেল নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে। 


কিয়েভ বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধরত তার বাহিনীতে সৈন্য এবং অস্ত্র পরিবহনের জন্য রেলপথ ব্যবহার করে। তিন বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে ইস্তাম্বুলে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের মাত্র দুই দিন আগে এ ঘটনাটি ঘটেছে।


সূত্র: এএ্ফপি


এসজেড