লোহিত সাগরে পাচারকারীরা অভিবাসীদের নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত এবং ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা একথা জানিয়েছে। আদ্দিস আবাবা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বৃহস্পতিবার চোরাকারবারিরা নৌকাটি থামিয়ে দেওয়ার সময় নৌকাটিতে প্রায় ১৫০ জন যাত্রী ছিলেন। পাচারকারীরা তাদের যাত্রার মাঝপথে নামিয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যাত্রীদের জোরপূর্বক সাতার কাটতে সাগরে নোমিয়ে দেওয়া হয়। চোরাকারবারিরা কেন দলটিকে নামিয়ে দিতে বাধ্য করে তা স্পষ্ট নয়।
প্রতি বছর হাজার হাজার আফ্রিকান অভিবাসী জিবুতি থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত লোহিত সাগর পেরিয়ে ‘পূর্ব রুট’ ব্যবহার করে তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোতে পৌঁছানোর আশায় সাহস করে আদম ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে যাত্রা করে। গত বছর আইওএম এই পথে কমপক্ষে ৫৫৮ জন নিহতের রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে ৪৬২ জন ডুবে মারা গেছেন। আইওএম জানিয়েছে, গত সপ্তাহের ঘটনার অন্তত পাঁচটি মৃতদেহ জিবুতির উপকূলে ভেসে ভেসে তীরে আসে।
পূর্ব হর্ন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার আইওএম আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্টজ সেলেস্টিন বলেছেন, ‘এই তরুণদের প্রতি মানব জাতি হিসেবে চোরাকারবারিরা কোনো শ্রদ্ধা না দেখিয়ে তাদের পছন্দের দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া প্রতিটি প্রাণ একটি ট্র্যাজেডি যা কখনই ঘটতে পারে না।’
আইওএম-এর মতে, ২০২৪ সালে ‘অযোগ্য নৌকা ব্যবহার, জাহাজের ভিড়, খারাপ সামুদ্রিক পরিস্থিতিতে চলাচল এবং চোরাকারবারিরা মানুষকে সমুদ্রে নামতে বাধ্য করার কারণে ছয়টি বড় জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে।’ আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধের কবলে থাকা এই দেশটির লোকজন উন্নত জীবনের আশায় ইয়েমেনে পৌঁছানোর পর অভিবাসীরা প্রায়শই তাদের নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য হুমকির সম্মুখীন হয়।
সূত্র: এএফপি
এসজেড