ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের জঙ্গলে গভীর রাতে হরিণ শিকারিদের হাতে এক বনরক্ষী খুন হয়েছেন। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন আরও চার বনরক্ষী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, নিহত বনকর্মীর নাম অমলেন্দু হালদার (৫৯)। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির বাসিন্দা।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, রাতে টহল দেয়ার সময় হরিণ শিকারিদের আক্রমণের মুখে পড়ে বনরক্ষীদের টহল দলটি। এ সময় বনকর্মী অমলেন্দুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৮ মে) রাতে বোট নিয়ে টহল দিতে বেরিয়েছিলেন অমলেন্দু। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও চার বনকর্মী। সুন্দরবনের বিদ্যা রেঞ্জ অফিসের অধীনে নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারিদের মুখে পড়েন তারা।
সেখানেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় অমলেন্দুকে। প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন অপর চার বনকর্মী। পুলিশের সূত্রে খবরে বলা হয়েছে, অমলেন্দুকে কুড়াল জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহত বনকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে লাশ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, এইটুকু পরিষ্কার যে, গুলি চালানো হয়নি। লাশের গায়ে গুলি লাগার চিহ্ন নেই। ধারালো কিছুর আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।