ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এরদোগানের সতর্কবার্তা

তিনি ইসরায়েলকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি’ হিসেবেও অভিহিত করেন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জুন, ২০২৫
এরদোগানের সতর্কবার্তা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ‘ভয়াবহ যুদ্ধ’ বেঁধে গেলে তা বড় ধরনের শরণার্থী সংকট তৈরি করতে পারে। শনিবার আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক ফোনালাপে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ইস্তাম্বুুল থেকে এএফপি জানায়, এরদোগান তার ইরানি সমকক্ষ মাসুদ পেজেশকিয়ানকে বলেছেন, ইসরায়েল পুরো অঞ্চলকে অগ্নিকুণ্ডে ফেলার চেষ্টা করছে। এটি সকলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।


সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে এরদোগান জানিয়েছেন, আমাদের অঞ্চল আর কোনও সংকট নিতে পারবে না। এই বিধ্বংসী যুদ্ধ অভিবাসন সমস্যা সৃষ্টি করবে, যা সবার জন্য হুমকি হবে। তুরস্ক এরই মধ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এছাড়া, ইরান থেকে রাজনৈতিক কারণে পালিয়ে আসা লোকেরাও রয়েছে। এতে তুরস্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।


এরদোগান সৌদি যুবরাজকে বলেন, ইসরায়েলকে ‘অবশ্যই থামাতে হবে’। তিনি ইসরায়েলকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি’ হিসেবেও অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয় কেবল শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।’ এরদোগান বলেন, ‘ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ বন্ধ করে রাখায়, ইসরায়েল আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনে এতদূর পোঁছেছে।’


তিনি জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও কথা বলেছেন। এরপর তার কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও তিনি সমর্থন দিয়েছে।


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে লিখেছেন, তিনি এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা একমত হয়েছেন, ‘ইসরায়েলের ইরানের ওপর অপ্রত্যাশিত আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি।’


সূত্র: এএফপি


এসজেড