ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে কূটনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি রোববার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এক ফোন কলে বলেন, ইরানের বিষয়ে কূটনীতিই শেষ পর্যন্ত সর্বোত্তম, তবে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো থেকে বিরত থাকেন তিনি।
কানানাস্কিস থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়, ভন ডার লিয়েন বলেন, তিনি টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে একমত হন, ‘ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিৎ নয়, তা প্রশ্নাতিত।’ এদিকে কানাডার কানানাস্কিসে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মনে করি, দীর্ঘমেয়াদে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানই সর্বোত্তম।’
গাজায় ইসরায়েলের হামলার সমালোচনা করেন ভন ডার লিয়েন। নতুন সংঘাতের জন্য ইরানকে দায়ী করেন তিনি। সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা (ইরান) তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে না। ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরান আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস।’
তিনি ধর্মীয় নেতা-শাসিত তেহরানের রাশিয়ার কাছে বিক্রি করা ড্রোনের হামলার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার উল্লেখ করে বলেন, জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইরান সংকট নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘একই ধরনের ইরানি-নকশায় তৈরি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন ও ইসরায়েলের শহরগুলোয় নির্বিচারে আঘাত হানছে। তাই, এই হুমকিগুলো এক সঙ্গে মোকাবেলা করা দরকার।’
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান আন্তোনিও কস্তা, তার পাশে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘কূটনীতির জন্য জায়গা দেওয়ার’ এবং ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর সুযোগ দেওয়ার’ সময় এসেছে। এদিকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা- আইএইএ)-এর বাধ্যবাধকতার প্রতিক্রিয়ায় ইরান বলেছে তারা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, যদিও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে নয়। ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে ব্যাপকভাবে জানা গেলেও তারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করে না।
সূত্র: এএফপি
এসজেড