ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে আফগানিস্তানের জয়

নিউজিল্যান্ডকে ৭৫ রানে অলআউট করে ৮৪ রানের জয়ে চমকে দিলো আফগানিস্তান।
  • | ০৮ জুন, ২০২৪
নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে আফগানিস্তানের জয় ৮৪ রানে আফগানিস্তানের জয়

এর আগে দুই দল কেবল একবারই টি-টোয়েন্টি খেলেছিল ২০২১ সালে। সেটাও ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তিন বছর পর দ্বিতীয় দেখায় আফগানিস্তান নিলো মধুর প্রতিশোধ। নিউজিল্যান্ডকে ৭৫ রানে অলআউট করে ৮৪ রানের জয়ে চমকে দিলো আফগানিস্তান। 


গায়ানায় আগে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে রশিদ খানের ঘূর্ণি ও ফারুকির পেসে মাত্র ৭৫ রানে গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। ৮৪ রানের জয়ে আফগানিস্তান বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে।


টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৪৪ রান যোগ করেন। ১১-১৪ এই ৪ ওভারে আফগানিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান তোলেন যথাক্রমে ২১, ১০, ১১ ও ৫ রান। ১৪তম ওভারে তাদের রান শতকের ঘর ছুঁয়ে ফেলে। গুরবাজও ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি।


বড় রানের জন্য আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ছিল একমাত্র ভরসা। সেই কাজটাই শেষ দিকে করতে গিয়ে দ্রুত উইকেট হারায় আফগানরা। তবে রানও এসেছে। ১৫তম ওভারে ইব্রাহিমকে ৪৪ রানে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার হেনরি।


আজমতউল্লাহ ক্রিজে এসে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৩ বলে ২২ রান করেন চোখের পলকে। তাকেও থামান হেনরি। মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান ক্রিজে গিয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি। নবী রানের খাতা খোলার আগেই আউট। আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ করেন ৬ রান। গুরবাজের ৫৬ বলে ৮০ রান করেন ৫টি করে চার ও ছক্কায়।


রান তাড়ায় নেমে ফারুকি প্রথম বলে ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করে শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন। বাঁহাতি পেসার পরের ২ ওভারে তুলে নেন আরো ২ উইকেট। তাতে পাওয়ার প্লে’তে নিউ জিল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ২৮ রান।


শুরুর ওই ধাক্কার পর আফগান বোলিং সামলাতে পারেনি কিউইরা। রশিদ খান বোলিংয়ে এসে তাদের আরো কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন। স্পেলের প্রথম বলেই তার শিকার কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এক ওভার পর টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন।


নবী বোলিংয়ে এসে দশম ওভারে নেন ফিলিপসের উইকেট। ইনিংসের অর্ধেকতম ওভারে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং স্কোরবোর্ডের চিত্রটা ছিল এরকম, ৫৪/৭। সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেনি কিউইরা।


ফারুকি ৩.২ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন। রশিদ একই রানে পেয়েছেন সমান ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই কোনো অধিনায়কের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। এর আগে ড্যাটিয়েল ভেট্টরি ২০ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন।