ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তেলের দাম স্থিতিশীল

হংকং, সাংহাই, সিউল, সিঙ্গাপুর, সিডনি, ওয়েলিংটন, ম্যানিলা ও জাকার্তার বাজারগুলোতে বড় ধরণের পতন হয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৮ জুন, ২০২৫
তেলের দাম স্থিতিশীল তেলের দাম স্থিতিশীল।

ট্রাম্প তেহরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ দাবি করায়, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়াতে পারে এমন আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে আগের দিন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তেলের দাম বুধবার এসে কিছুটা স্থিতিশীল হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের সংকট শান্ত হওয়ার আশাকে ম্লান করে দিয়েছে।


ট্রাম্পের মন্তব্য মঙ্গলবার তেলের দাম চার শতাংশের বেশি বাড়িয়ে দেয়, কারণ সংঘাতের তীব্রতা বাড়লে কাঁচা তেল সমৃদ্ধ এই অঞ্চলের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। যদিও বুধবার তেলের প্রধান দুটি চুক্তির দরপতন হয়েছে, তবুও বিনিয়োগকারীরা যেকোনো নেতিবাচক পরিস্থিতির আশঙ্কায় সতর্ক রয়েছেন। বিশেষ উদ্বেগের বিষয়, ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা। যেখান দিয়ে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের প্রায় পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ করা হয়, কমার্জব্যাংকের নোট অনুসারে।


এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনেস বলেছেন, ‘ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য সবুজ সংকেত দিলে ইরান মার্কিন আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার জন্য প্রস্তুত বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটনের জ্বালানিবাহী বিমানগুলো ইতোমধ্যেই পথে নেমেছে এবং যদি ফোরডো আক্রান্ত হয়, তাহলে আশঙ্কা করা যায় হরমুজ প্রণালী একটি সামুদ্রিক মাইনফিল্ডে পরিণত হবে, হুথি ড্রোন লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচলের পথে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং বসরা থেকে দামেস্ক পর্যন্ত প্রতিটি মিলিশিয়া মার্কিন সামরিক চৌকিগুলোতে হামলা করবে।’


হংকং, সাংহাই, সিউল, সিঙ্গাপুর, সিডনি, ওয়েলিংটন, ম্যানিলা ও জাকার্তার বাজারগুলোতে বড় ধরণের পতন হয়েছে, যদিও টোকিও, সিউল ও তাইপেই তে বেড়েছে। ওয়াল স্ট্রিটে দুর্বল লেনদেনের পর এই লোকসান দেখা দিয়েছে। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রির পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে যার প্রধান কারণ ছিল গাড়ি বিক্রিতে মন্দা। 


বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি আরেকটি রিপোর্টে দেখা গেছে, কারখানার উৎপাদন অপ্রত্যাশিতভাবে কমে গেছে। তবুও, তারা ফেডারেল রিজার্ভ অবশেষে সুদের হার কমাবে বলে আশা জাগিয়েছে। ব্লুমবার্গ নিউজের মতে, ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, বছরের শেষ নাগাদ অন্তত দু’বার সুদের হার কমানো হতে পারে।


বিনিয়োগকারীরা নজর রাখবেন ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের ওপর, যা দিনের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, সুদের হার অপরিবর্তিতই রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বৈঠক শেষে সুদের হার ও চলতি বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও প্রকাশ করবে ফেডারেল রিজার্ভ। বিশ্লেষকদের মতে, এতে ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের প্রভাবের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হবে। কেপিএমজির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ বেঞ্জামিন শুজমিথ বলেছেন, শুল্ক সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা ও মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি না হলে ফেড নিঃসন্দেহে এখনই আবার সুদের হার কমিয়ে আনত।


সূত্র: রয়টার্স


এসজেড