সম্প্রতি পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো খবরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। দেশটির একাধিক সরকারি সূত্র এই খবরকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে আখ্যায় দিয়েছে।
ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা বলেন, “এই ধরনের গুজব ভারতীয় মিডিয়ার দীর্ঘদিনের অপপ্রচারের অংশ। আগে জাফর এক্সপ্রেস হামলা, পাহেলগাম ইস্যু এবং সীমান্ত সংঘাতগুলো নিয়েও এরকম ভুয়া প্রচার চালানো হয়েছে।”
এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সদ্য সমাপ্ত হোয়াইট হাউস বৈঠকের বিষয়বস্তু আড়াল করাই মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্প ওই বৈঠকে জানান, তিনি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিস্থিতি এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে মুনিরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্ভাব্য যুদ্ধ “বন্ধ করার জন্য” মুনির ও মোদিকে সমানভাবে প্রশংসা করেন তিনি।
একইসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেন, “আমি যুদ্ধ থামিয়েছি। পাকিস্তানকে ভালোবাসি। মোদিকেও দারুণ মানুষ বলে মনে করি। তাঁকে গতরাতে ফোন দিয়েছি। আমরা বাণিজ্য চুক্তি করব। তবে যুদ্ধ বন্ধ করেছি—এটাই বড় অর্জন।”
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, বৈঠকে ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা আরও জানায়, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এবং মুনির সংঘাত নিরসনের পক্ষে অবস্থান জানান।
উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায়, পাকিস্তানের দূতাবাসের একটি অংশ সেখানে ইরানের স্বার্থ রক্ষা করে। এই বাস্তবতায় পাকিস্তান বর্তমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ হয়ে উঠেছে।
সার্বিকভাবে, ইসলামাবাদ বারবার বলেছে—তারা কোনো সামরিক ঘাঁটি দিচ্ছে না এবং এই ধরনের “ভারতীয় মিথ্যাচার” আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তারা জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ধরনের ভুয়া প্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
thebgbd.com/NIT