ছোট হয়ে আসছে মানুষের মস্তিষ্ক। এখনকার মানুষের মস্তিষ্ক এক লাখ বছর আগের মানুষের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ ছোট। মস্তিষ্ক ছোট হওয়ার কারণ কি জলবায়ুর পরিবর্তন, নাকি আমাদের কোনো ধরনের দক্ষতা? বিজ্ঞানীরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
এমনিতে একই আকারের অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানুষের মস্তিষ্ক অনেকটাই বড়। তবে মানুষের মস্তিষ্কের আকার সংকুচিত হওয়ার প্রবণতা চলছে ১ লাখ বছর ধরে। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় এ সংক্রান্ত উদাহরণ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ বরফযুগে বসবাসকারী মানুষের তুলনায় এখনকার নারী-পুরুষের মস্তিষ্ক গড়ে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ ছোট।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর সঙ্গে যুক্ত জার্মান বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী গারহার্ড ফন বোনিন ১৯৩৪ সালে লিখেছেন, ১০ থেকে ২০ হাজার বছরের মধ্যে অন্তত ইউরোপে মানবমস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসার সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।
২০২৩ সালের এক গবেষণায় জেফ মরগান ৫০ হাজার বছরের মধ্যবর্তী সময়ের হোমো সেপিয়েন্সের ২৯৮টি খুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তিনি দেখেছেন, অন্তত ১৭ হাজার বছর আগে বা সর্বশেষ বরফযুগের শেষ দিক থেকে মানুষের মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে আসা শুরু। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা গেছে, জলবায়ুর উষ্ণায়নের সময়ের সঙ্গে মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসার সময়ের মিল রয়েছে।
এ বিষয়ে জেফ মরগান স্টিবেল বলেন, আমরা দেখেছি, জলবায়ু যত উষ্ণ হয় মানুষের মস্তিষ্কও তত ছোট হয় এবং জলবায়ু যত শীতল হয় মস্তিষ্ক তত বড় হয়।
গবেষণার এই ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, আমাদের এ পৃথিবী যেভাবে উষ্ণ হচ্ছে, তাতে সামনে মানুষের মস্তিষ্ক আরও ছোট হয়ে আসতে পারে।