চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া দুটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গত রোববার (১৯ মে) বিকেলে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা। এগুলো ব্রিটিশ হ্যান্ড গ্রেনেড বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মীরসরাইয়ে ড্রেনের পানিতে ভেসে আসা গ্রেনেডটি লোহার বস্তু ভেবে সংগ্রহ করে নিজের হেফাজতে রাখেন এক তরুণ। কয়েকদিন আগে একই ধরনের একটি বস্তুকে গ্রেনেড হিসেবে নিষ্ক্রিয় করার খবর জানতে পেরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। অন্যদিকে সীতাকুণ্ডে গ্রেনেডটি বাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্য সঞ্জয় গুহ জানান, রোববার সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তমিজ উদ্দিন সেরাং বাড়ির বাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আরাফাত হোসেন রাব্বি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯-এ ফোন করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে।
এর আগে শনিবার (১৮ মে) রাত ৮টার দিকে তানভীর হোসেন নামে এক তরুণ ৯৯৯-এ ফোন করে মীরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলি ইউনিয়নের গণকছড়া গ্রামে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি গ্রেনেড পাওয়ার তথ্য দেন। রাতেই স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তথ্য পেয়ে সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট উভয় ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।
পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় গুহ বলেন, তানভীর হোসেন উনার বাড়ির পাশে ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় গ্রেনেডটি দেখেন। কিন্তু তিনি সেটা কী বস্তু চিনতে পারেননি। সেটা তিনি ড্রেন থেকে তুলে নিজের হেফাজতে রাখেন।
তিনি বলেন, গ্রেনেডগুলো জং ধরা। এগুলো ব্রিটিশ হ্যান্ড গ্রেনেড। ১৯১৫ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে সেগুলো তৈরি হয়েছে। আমাদের ধারণা, স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে গ্রেনেডগুলো ব্যবহার করা হলেও অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে ছিল।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার লেয়াকত আলী বলেন, গ্রেনেডগুলো স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ের বলে আমাদের ধারণা। মাটি খননের কারণে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বছরের পর বছর এগুলো রেখে দেয়া যাবে।
কিন্তু আগুনের স্পর্শ কিংবা আঘাত পেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা দরকার।