যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ইউক্রেনে রাশিয়া তাদের সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
কিয়েভ থেকে এএফপি জানায়, ইউক্রেন রাজধানী কিয়েভে এএফপির সংবাদকর্মীরা রাতভর ড্রোনের গুঞ্জন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করতে সক্রিয় ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় যুদ্ধ অবসানের কোনো অগ্রগতি হয়নি। অপরদিকে ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়া তাদের যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জনে অটল থাকবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ফোনালাপের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই দেশজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা বাজতে থাকে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও দেখিয়ে দিল যে তারা যুদ্ধ ও সন্ত্রাস বন্ধ করতে চায় না। এটি পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে, প্রকৃত ও বৃহৎ পরিসরের আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়া রাশিয়া তাদের নির্বোধ ও ধ্বংসাত্মক আচরণ পরিবর্তন করবে না।’ জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ৫৩৯টি বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ও ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগ্নাট শুক্রবার জানান, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের তিন বছরেরও বেশি সময়কালে গতরাতে সর্ববৃহৎ বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল একক আক্রমণে শত্রুর ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ সংখ্যা।’ তার ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়া এ হামলায় মোট ৫৫০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা এই যুদ্ধের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার রাতভর হামলা বেড়ে গেছে। এএফপির হিসাব অনুযায়ী, জুন মাসেই রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যখন কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি থমকে গেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিগা বলেন, ‘পুতিন স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো সব পক্ষকে অবজ্ঞা করছেন।’ কিয়েভে বাসিন্দারা রাতভর মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বলে এএফপি জানিয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড