নতুন ঠিকানায় আসার সপ্তাহখানেকের মাথায় প্রথমবার শুরুর একাদশে নামলেন জোয়াও পেদ্রো এবং নেমেই হয়ে উঠলেন দলের মধ্যমণি। চমৎকার দুটি গোল করে গড়ে দিলেন ব্যবধান।ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল চেলসি। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ম্যাচ শুরুর ১৮ মিনিটের মধ্যে জালের দেখা পান পেদ্রো। প্রতিপক্ষের দুর্বলতায় বক্সের বাইরে বল পেয়ে চমৎকার বাঁকানো শটে দলকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
শৈশবের এই ক্লাবের হয়েই পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন পেদ্রো। যেই ক্লাব একসময় তার ‘নিজের বাড়ির’ মতো ছিল, তাদের বিপক্ষে গোল করে উদযাপন করেননি তিনি। ২৬তম মিনিটে পাল্টা জবাব দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় ফ্লুমিনেস; কিন্তু ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে হারকিউলিসের শট গোললাইন থেকে ফেরান মার্ক কুকুরেইয়া।
আট মিনিট পর আবার বিপদে পড়তে বসেছিল চেলসি। তাদের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ট্রেভর চালাবাহর হাতে বল লাগলে প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, তবে পরে ভিএআর মনিটরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি।
৫৬তম মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন পেদ্রো। এনসো ফের্নান্দেসের থ্রু বল ধরে, ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শট নেন ২৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। বল ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে ঠিকানা খুঁজে পায়। এবারও একই ভঙ্গিমায় দুই হাত ওপরে তুলে ধরেন পেদ্রো।
শেষ দিকে ঘর সামলানোয় বাড়তি মনোযোগ দেয় চেলসি। সুযোগে আক্রমণে চাপ বাড়ায় ফ্লুমিনেন্সে। কিন্তু লড়াইয়ে কোনোরকম নাটকীয়তা ফেরাতে পারেনি তারা। পিএসজি নাকি রেয়াল মাদ্রিদ, শিরোপা লড়াইয়ে কাদের মুখোমুখি হবে চেলসি, জানা যাবে বুধবার।
thebgbd.com/NIT