যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আবারও আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন—এমন দাবি করেছে তেহরান। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে একেবারে ‘অবিশ্বস্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলী লারিজানি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লারিজানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আমাদের এখন আর কোনো বিশ্বাস নেই।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘আমেরিকার নীতি হলো— আত্মসমর্পণ করো, না হয় যুদ্ধ করো।’ মধ্যপ্রাচ্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্য হবে সহনশীল এবং দৃঢ়।’
সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আলোচনার সময় নির্ধারণ করেছি, ওরা (ইরান) কথা বলতে চায়।’
তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্য অস্বীকার করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাঈ তাসনিম বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈঠকের অনুরোধ করিনি।’
এর আগে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ইরানের ফোর্দো ও নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায় ১৪টি ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ (বাংকার-বাস্টার) বোমা নিক্ষেপ করে। একইসঙ্গে ইসফাহানে সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয় একাধিক টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
এরও আগে, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে নির্ধারিত ষষ্ঠ দফা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। পরে ১২ দিনব্যাপী সংঘাতের পর, ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি যুদ্ধবির্তির মাধ্যমে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অবসান ঘটে।
https://thebgbd.com/BYB