জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা দশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা গোষ্ঠীর কাছ থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা গত ৬ সপ্তাহে প্রায় ৮শ’ জনে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বারবার হতাহতের খবর পাওয়ায় তারা সেনাদের প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে একমত হতে কাতারে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের আলোচকদের পরোক্ষ আলোচনা চলাকালে শুক্রবারের এই সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি আশা করছেন ৬০ দিনের যুদ্ধ বিরতির জন্য একটি চুক্তি হতে পারে এবং এরপর তিনি যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের জন্য আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
হামাস বলেছে, আলোচনায় অবাধ সাহায্য প্রবাহ একটি প্রধান বিষয়, কারণ গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষুধা ও রোগের ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন। ইসরায়েল মে মাসের শেষের দিকে সাহায্যের ওপর দুই মাসেরও বেশি অব্যাহত অবরোধ শিথিল করতে শুরু করে। তারপর থেকে, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি নতুন মার্কিন এবং ইসরায়েল-সমর্থিত সংস্থা কার্যকরভাবে এই অঞ্চলের জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন বিশাল সাহায্য বিতরণ নেটওয়ার্ককে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
ইসরাইলি বাহিনী যেসব জায়গায় তৎপর সেই জায়গাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করে আসছে জিএইচএফ। সেখানে ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করা শত শত ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পর জাতিসংঘ জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতিকে ‘মূলত ঝুঁকিপূর্ণ’ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতিমালার লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছে।
গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের কাছে একটি বিতরণ স্থানে অপেক্ষা করার সময় ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর গুলি চালানোর খবর বার বার আসছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড