বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির তথ্য মতে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাশার, তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে নিয়ে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, স্কলারশিপ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করেন তাঁরা।
সিআইডির দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ১৪১ জন শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে চক্রটি ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও বেশি। এ পর্যন্ত ৪৪৮ জন প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন।
আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রওনক শিক্ষার্থী ভিসার আশ্বাসে বিএসবি গ্লোবালকে ৩৪ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ভিসা না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে প্রতিষ্ঠানটি কোনো সাড়া দেয়নি। তাঁর মতো আরও অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
গুলশান থানাসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। শুধু গুলশান থানাতেই তাঁর বিরুদ্ধে নয়টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
শরীয়তপুরের আমির হোসেন বলেন, "ভিসা না পেয়ে জমি বিক্রির ১৩ লাখ টাকা হারিয়েছি। আমরা কষ্টের টাকা ফেরত চাই এবং প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।"
অন্যদিকে, বিএসবি গ্লোবালের গ্রেপ্তার হওয়া মহাব্যবস্থাপক আবু জাহিদের আইনজীবী দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সঙ্গে কাজ করেছে এবং যারা যেতে পারেননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
গুলশান থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, মামলাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং বাশারকে অন্যান্য মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হবে।
thebgbd.com/NA