শীতকাল বা হঠাৎ পরিবেশের পরিবর্তনে সর্দি-কাশি হওয়া সাধারণ একটি সমস্যা। নানা ধরনের ওষুধের পাশাপাশি প্রাচীনকাল থেকে লবঙ্গকে প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লবঙ্গের রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক, প্রদাহনাশক এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধক গুণ, যা সর্দি-কাশি থেকে মুক্তিতে কার্যকর।
লবঙ্গে থাকা ইউজেনল নামক উপাদান গলা শ্বাসনালী শুষ্ক ও জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে। কফ ঝড়ানো সহজ হয়, ফলে শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। লবঙ্গ গরম পানিতে দিয়ে সেই পানি সেবন করলে ঠান্ডাজনিত জ্বর ও কাশি উপশমে উপকার পাওয়া যায়।
ছোট শিশু বা বড়দের জন্য লবঙ্গ ও মধু মিশিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে গলার ব্যথা আরামদায়কভাবে কমানো সম্ভব। এছাড়া লবঙ্গের গুঁড়া ও গরম জল দিয়ে তৈরি ঘরোয়া ইনহেলেশন শ্বাসনালীর রুগ্নতা হ্রাস করে।
তবে অত্যধিক লবঙ্গ সেবন এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ তা গলার জ্বালা বাড়াতে পারে। সর্দি-কাশির প্রাথমিক পর্যায়ে লবঙ্গের এই ঘরোয়া প্রতিকার অনেক ক্ষেত্রে উপকারী এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আরাম দেয়।
শীতকালে সর্দি-কাশি হলে রাসায়নিক ওষুধের পাশাপাশি লবঙ্গের মতো প্রাকৃতিক ঔষধকে আপনার রসায়নে স্থান দিন, সুস্থ থাকুন।
https://thebgbd.com/BYB