গোপালগঞ্জ সদরের চৌরঙ্গী এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়া রমজান মুন্সী (২৮) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রমজান মুন্সী গোপালগঞ্জ সদরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা, পেশায় অটোরিকশা চালক। তার ভাই ইমরান মুন্সী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে চৌরঙ্গী কোর্টের সামনে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে রমজান গুরুতর আহত হন। গুলি তার ডান হাতের কব্জির ওপর ও বগলে বিদ্ধ হয় এবং শরীরের ভেতরে রয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট থানা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবারও কারফিউ জারি করা হয়েছে, যা পরিস্থিতি অনুযায়ী বাড়ানো হতে পারে।
কারফিউ চলায় সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী। সহিংসতার ঘটনায় আরও ২০ জনকে আটক করা হয়েছে, ফলে মোট আটক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে।
উল্লেখ্য, বুধবার এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দীপ্ত সাহা, রমজান কাজী, সোহেল ও ইমন তালুকদার নিহত হন। রমজান মুন্সীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচে।
thebgbd.com/NIT