ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ছয় বছরেও ছেলের হত্যার বিচার পাইনি: আবরার ফাহাদের বাবা

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পার হলেও এখনো পূর্ণ বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জুলাই, ২০২৫
ছয় বছরেও ছেলের হত্যার বিচার পাইনি: আবরার ফাহাদের বাবা ছবি : সংগৃহীত।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পার হলেও এখনো পূর্ণ বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, “এখনো আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। আমার ছেলে দেশের স্বার্থে কথা বলেছিল, সেটাই ছিল তার অপরাধ।”


শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।


বরকত উল্লাহ বলেন, “২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। সে লিখেছিল— ভারত গোপন চুক্তিতে ফেনী নদীর পানি নিচ্ছে, আমরা ইলিশ পাচ্ছি না, বরং আমাদের ইলিশ কম দামে ভারতে যাচ্ছে। এই কথা বলার অপরাধেই তাকে হত্যা করা হয়।”


তিনি আরও বলেন, “আজ ছয় বছরেও বিচার শেষ হয়নি। আমি সরকারের কাছে নয়, দেশের বিবেকবান মানুষের কাছে ন্যায়বিচার চাইছি।”


বরকত উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে চলমান র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, “ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যদি অন্তর্বর্তী সরকার এসে থাকে, তাহলে র‍্যাগিং বন্ধে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না কেন?”


তিনি র‍্যাগিংয়ের কারণে যারা মারা গেছে, তাদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি ‘শহীদ তালিকা’ প্রস্তুতের দাবি জানান। বলেন, “জুলাই-আগস্টের শহীদদের আমরা স্মরণ করি, কিন্তু র‍্যাগিংয়ে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীদের কোনো স্বীকৃতি নেই।”


এদিন দুপুর ২টায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের মূল পর্ব কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংগঠনিক পরিবেশনা, শীর্ষ নেতাদের আগমন এবং স্লোগানে মুখর ছিল এলাকাটি।


জামায়াতের নেতারা জানান, সমাবেশের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নতুন বার্তা দিতে চায় দলটি। আমির ডা. শফিকুর রহমান তাঁর ভাষণে গণহত্যার বিচার, পিআর ভিত্তিক নির্বাচন ও ‘চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান’-এর চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেবেন।


সমাবেশ সফল করতে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ রিজার্ভ করে ঢাকায় আনা হয়েছে লাখো নেতাকর্মীকে। আয়োজকদের দাবি— সমাবেশে ১৫ লাখ মানুষের উপস্থিতি ঘটবে।


thebgbd.com/NA