স্কুলের গেটে শিশুদের হাত ধরে পার করানো মাইলস্টোন স্কুলের কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধু্রি জানেন না আগামীতে আর এভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা। ঝলসে যাওয়ার পরও তিনি তার শেষ দায়িত্বটুকু পালন করে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি নিজেই আইসিইউতে বাঁচার লড়াই করছেন।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে সেই স্কুল গেটেই ঘটে গেলো ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। স্কুলের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান।
এতে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন, পুড়ে যায় মাহরিনের শরীর। সেই পোড়া শরীর নিয়েই চেষ্টা করেন শিশুদের বাঁচাতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মাহরিন। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাহরিনের স্বামী মনসুর হেলাল জানান, মাহরিনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ঝলসে গেছে। আমার মনে হচ্ছে ১০০ শতাংশ দগ্ধ।
তবে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন মাহরিন। এ বিষয়ে মনসুর হেলাল বলেন, মাহরিন বলেছেন- স্কুল ছুটির পর বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই গেটের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নিজে দগ্ধ হলেও সেসময় তিনি বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
মাহরিন চৌধুরী এখন বেঁচে থাকার লড়াই করছেন। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তার স্বামী। পরিবার, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা মাহরিনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
thebgbd.com/NA