সিরিয়ার পুনর্গঠনে বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তির লক্ষ্যে ১০০-জনের বেশি বিনিয়োগকারীর একটি সৌদি প্রতিনিধি দল বুধবার দামেস্কে পৌঁছেছে। সেখানে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাজতন্ত্র সৌদি আরব সিরিয়ায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের হাতে দীর্ঘকালীন শাসক বাশার আল-আসাদ উৎখাতের মাধ্যমে গত ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
সৌদি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আল-একবারিয়ার বরাতে রিয়াদ থেকে এএফপি জানায়, সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ১২০ জন বিনিয়োগকারীর প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা ১৫ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় জানায়, সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো ‘সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করা এবং এমন সব চুক্তিতে স্বাক্ষর করা যা টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহ দেবে এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের স্বার্থে কাজ করবে।’
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেন, যার লক্ষ্য ছিল দেশটিকে আবার বৈশ্বিক অর্থনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনা। সৌদি আরব ও তুরস্কের অনুরোধে সাড়া দিয়ে মে মাসে ট্রাম্প সিরিয়ার বিরুদ্ধে থাকা বেশির ভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। মে মাসে সৌদি সফরের সময় ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তী নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে আসাদ উৎখাতের পর শারার তার প্রথম বিদেশ সফরে রিয়াদ যান। এ বছরের শুরুতেই সৌদি আরব ও কাতার মিলে বিশ্বব্যাংকের কাছে সিরিয়ার প্রায় দেড় কোটি ডলারের দেনা মেটানোর অঙ্গীকার করে। তবে দেশ ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দামেস্কের নতুন সরকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড