ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তিনি রোজ আমাকে হাসিখুশি রাখেন: স্বামীকে নিয়ে মালালা

মালালা ইউসুফজাইকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের অধিকারকর্মী মালালা প্রতিরোধ, শিক্ষা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৪ জুলাই, ২০২৫
তিনি রোজ আমাকে হাসিখুশি রাখেন: স্বামীকে নিয়ে মালালা ছবি : সংগৃহীত।

মালালা ইউসুফজাইকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের অধিকারকর্মী মালালা প্রতিরোধ, শিক্ষা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক। সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মালালা নিজের একটি ব্যক্তিগত প্রতিকৃতি উপস্থাপন করেছেন।

গত সোমবার ইনস্টাগ্রামে নিজের শৈশবের একটি ছবি পোস্ট করেছেন মালালা। এতে লেখেন, যদি তোমরা আমাকে নিয়ে কোনো প্রজেক্ট করো, তাহলে তুমি সম্ভবত আমাকে সেই ১৫ বছর বয়সি কিশোরী হিসেবে চিনবে যাকে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে লড়ার জন্য তালেবানরা গুলি করেছিল। সেটা ১৩ বছর আগের কথা। তারপর থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে, এবং কিছু জিনিস একই রয়ে গেছে, তাই আজ আমি কে তার পুনঃপরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।’

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরুর আগে মালালা পাকিস্তান নিয়ে বর্ণনা করেন। তিনি লেখেন, ‘আমি অনেক বন্ধু পেয়েছি, (একটু বেশি) মজা করেছি এবং নিজের সম্পর্কে শিখেছি। এখানেই আমার মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে, প্রথমবারের মতো প্যানিক অ্যাটাকের সম্মুখীন হয়েছি। থেরাপিতে যাওয়া সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছে।’

স্নাতক শেষ করার আগেই মালালা আসের মালিককে বিয়ে করেন। স্বামী সম্পর্কে মালালা বলেন, ‘তিনি প্রতিদিনই আমাকে হাসিখুশি রাখেন’।

মালালা বলেন, ‘নতুন ভাষা পড়া এবং শেখার পাশাপাশি আমি ব্যায়াম  এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা খেলতে ভালোবাসি।’

নিজেক নিয়ে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, ‘আসের আমাকে জিম ব্রো বলে ডাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভ্রমণ করতে ভালোবাসি কিন্তু ভ্রমণের প্রস্তুতিতে আমি ভালো নই। বিমানবন্দরে যাওয়ার ১০ মিনিট আগে স্যুটকেসে কাপড় গোছায় এবং সবসময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভুলে যাই। আমি নতুন রেস্তোরাঁয় যেতে ও নতুন খাবার খেতে ভালোবাসি। তবে, আমি রান্না করতে পারি না এবং আমার ফ্রিজ টেকআউট বাক্সে ভরা।’ 

মালালার মানবিক কাজ তার জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।  এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বেশিরভাগ সময় আফগানিস্তান, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করার পেছনে ব্যয় করি।’

আশার বার্তা দিয়ে পোস্টের উপসংহারে মালালা লেখেন, ‘আমার জীবন আমার কল্পনার মতো আর কিছুই নয়। এই ছবির মেয়েটি গাড়ির মেকানিক হতে চেয়েছিল। কিন্তু স্কুলের প্রতিটি মেয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং নিজের ভবিষ্যৎ বেছে নিতে সক্ষম হবে, এই আশা কখনোই বদলাবে না। নতুন মুখ এবং যারা শুরু থেকেই পাশে আছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ।’

thebgbd.com/NA