বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে আপাতত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি চালু হবেনা না। এমনকি সমপদ বা অন্য কোনো নিয়মেও বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাবেন না।
গত ৫ মে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসব সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মঙ্গলবার (২১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সভায় শিক্ষামন্ত্রী বদলি নিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চান। সেখানে আপাতত বদলি চালু না করতে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি কার্যক্রম চলছে।
কিন্তু নিয়োগের মাধ্যমে তার অর্ধেকও পূরণ হবে না। এ অবস্থায় বদলি চালু হলে গ্রামের শিক্ষকরা শহরে চলে আসতে পারেন, আর গ্রামের স্কুলগুলো খালি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। যা পূরণ করা কষ্টসাধ্য হবে।
আবার সমপদে এবং সমস্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগের প্রশ্ন আসলে মামলাসহ আরও কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে ওই প্রস্তাবও বাতিল হয়।
ফলে আপাতত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি চালু হচ্ছে না।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে কমিটির পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকরা। তখন প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএ’র হাতে যাওয়ায় সে সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে, নিজ এলাকার বাইরে চাকরি করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা।
এরপর ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ভিত্তিতে কর্মশালা হয়। বদলির নীতিমালার খসড়াও চূড়ান্ত হয়। তবে, কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় পরিপত্র আর জারি হয়নি।