আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং জায়ান্ট এইচএসবিসি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে তাদের কর-পূর্ব মুনাফা ২৬ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়ে ১৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে ব্যাংকটি বলছে, মার্কিন শুল্কের প্রভাব মোকাবেলায় তারা এখনো ‘ভালো অবস্থানে’ রয়েছে। হংকং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।
হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা এক বিবরণীতে ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী জর্জেস এলহেডারি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা শৃঙ্খলার সঙ্গে আমাদের কৌশল বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি এবং আমাদের চারটি প্রধান ব্যবসা ক্ষেত্রেই আয়ের গতি ধরে রাখতে পেরেছি।’
ব্যাংকটি ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে প্রতি শেয়ারে ০.১ ডলারের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে, পাশাপাশি ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত শেয়ার পুনঃক্রয়ের (বাইব্যাক) পরিকল্পনাও জানিয়েছে। এলহেডারি আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে লভ্যাংশ ও শেয়ার বাইব্যাক মিলিয়ে আমরা মোট ৯.৫ বিলিয়ন ডলার শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্ন দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া কাঠামোগত পুনর্গঠন ও ব্যয়সংকোচন কর্মসূচিতে ‘এইচএসবিসি ইতিবাচক অগ্রগতি’ অর্জন করছে। এইচএসবিসি জানিয়েছে, প্রথমার্ধে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার মুনাফা কমার প্রধান কারণ ছিল চীনের ব্যাংক অব কমিউনিকেশন্স-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ২.১ বিলিয়ন ডলারের শেয়ারহ্রাস ও ক্ষতির স্বীকৃতি। এই সময়ে ব্যাংকটির মোট আয় ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক হলেও ব্যাংকটি এশিয়া থেকেই অধিকাংশ রাজস্ব অর্জন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর দিকে মনোনিবেশ করে সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছে।
এলহেডারি বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও, যার মধ্যে শুল্কবিষয়ক বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত, কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভালভাবে প্রস্তুত।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদিও আমরা আশা করি শুল্কের সরাসরি প্রভাব আমাদের রাজস্বের ওপর তুলনামূলকভাবে সীমিত থাকবে, তবে সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবনতি ভবিষ্যতে (উল্লেখযোগ্য আইটেম বাদে) আমাদের আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড