ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘নতুন বাংলাদেশের’ ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা এনসিপির

রোববার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার পায়নি। আজ থেকে এক বছর আগে আমরা এই শহীদ মিনারে এসেছিলাম। এ দিনে হাসিনার পতনের ডাক এসেছিল। এক বছর হয়ে গেছে আজও আমাদের অধিকার পাইনি। আমরা আর হতাশার কথা শুনতে চাই না। বিজ্ঞাপন আরও পড়ুন জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে এক বছরেও গুম-খুন-ধর্ষণের বিচার না হওয়ায় ক্ষমা চাইলেন এনসিপি নেতা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচন হবে সারজিস আলম বলেন, আমরা শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। আমরা এই সরকারের কাছে মৌলিক সংস্কারের নিশ্চয়তা চেয়েছি। শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখানে এসেছি। বিজ্ঞাপন তিনি বলেন, আমাদের লড়াই ২৪ এর না। বিডিআর হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, ১৩ সালে শাপলা চত্বরে যারা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিচার চাইতে এসেছি। এই বাংলাদেশে যেমন জঙ্গিবাদ মেনে নেব না, তেমনি জঙ্গি নাটক ও মেনে নেব না। এই বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি নামে সব দালালকে আর মেনে নেব না।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩ আগস্ট, ২০২৫
‘নতুন বাংলাদেশের’ ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা এনসিপির ফাইল ছবি

তিনি বলেন, আমাদের দলের জন্ম, এনসিপির জন্ম, আমাদের সকল শ্রম, আপনাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য। আপনাদের অভিযোগ-অনুযোগ, প্রত্যাশা আমাদের ভাবনাকে করেছে গভীর, আমাদের লক্ষ্যকে করেছে সমৃদ্ধ। তাই ঠিক একবছর পর আমরা আবার শহীদ মিনারে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকের ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করছি।


শেখ হাসিনা বাংলার ইয়াজিদ, তার বিচার শেষ না করে রাজপথ ছাড়ব না

বাহাত্তরের সংবিধান আরেক দেশ থেকে পাস হয়ে এসেছে : সারজিস আলম

জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে 



এনসিপির ২৪ দফা ইশতেহারে যা আছে–


১। নতুন সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক

২। জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার

৩। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার

৪। ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কার

৫। সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন

৬। জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

৭। গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার

৮। স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ

৯। সার্বজনীন স্বাস্থ্য

১০। জাতি গঠনে শিক্ষানীতি

১১। গবেষণা, উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব

১২। ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্তার মর্যাদা

১৩। নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন

১৪। ইনসাফভিত্তিক অর্থনীতি

১৫। তারুণ্য ও কর্মসংস্থান

১৬। বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি

১৭। টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব

১৮। শ্রমিক-কৃষকের অধিকার

১৯। জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা

২০। নগরায়ণ, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা

২১। জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা

২২। প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার

২৩। বাংলাদেশপন্থি পররাষ্ট্রনীতি

২৪। জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল


ঘোষণা শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই শহীদ মিনারেই আমরা শপথ নিয়েছিলাম এই দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করব। আপনারা সেই আহ্বানে সাড়া দেওয়ায় আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করেছি এবং দেশের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে নিয়েছি। আজ আবারও এই শহীদ মিনার থেকে আমরা আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি– আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনে এই ঐতিহাসিক ২৪ দফাকে বাস্তবে রূপান্তর করে সকল নাগরিকের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ি।