মাত্র এক মৌসুম টিকলেন চেলসির আর্জেন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। অনেক আশা নিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এসেছিলেন সাবেক টটেনহ্যাম ও পিএসজি কোচ। তবে প্রত্যাশিত ফল এনে দিতে না পাড়ায় শেষ পর্যন্ত এক মৌসুম পরই চেলসি ছাড়তে হল তাকে। তবে এমন ঘটনা যে শুধু পচেত্তিনোর সঙ্গেই হয়েছে তেমনটা নয়। গত ১৭ মৌসুমে ১৭বার কোচ বদলিয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ হয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুম শেষ করেছে চেলসি। জিতেছে শেষ পাঁচ ম্যাচও। তবে কোন শিরোপা জিততে পারেনি বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্লাবটি। যার কারণে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে চেলসি ছেড়েছেন পচেত্তিনো। চেলসি তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘চেলসি নিশ্চিত করছে, ক্লাব এবং মাউরিসিও পচেত্তিনো পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।’
তবে কোচের সঙ্গে এমন বিচ্ছিন্ন বারবারই হয়ে আসছে দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ক্লাবটির। শুধুটা ২০০৭ সাল থেকে। ২০০৩ সালে চেলসিকে কিনে নেয় রাশিয়ার ধনকুব রোমান অ্যাব্রোমোভিচ। ২০০৪ সালে তিনি নিয়ে আসেন পর্তুগিজ মাস্টারমাইন্ড জোসে মরিনহোকে। তার অধীনে লিগ শিরোপা জেতার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টেও দারুণ পারফর্ম করে চেলসি। তবে ২০০৭ সালে ছাঁটাই হন মরিনহো।
এরপর কোন কোচই দুই মৌসুমের বেশি টিকতে পারেননি চেলসিতে। আব্রাম গ্র্যান্ট, লুইস ফেলিপে স্কলারি এবং গুস হিডিঙ্ক এক মৌসুম করে কোচ ছিলেন চেলসির। বর্তমান রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেলসির কোচের দায়িত্বে ছিলেন।
এক মৌসুমের বেশি টিকতে পারেননি আন্দ্রে ভিলাস বোয়াস, রবার্তো ডি মাত্তেও এবং অভিজ্ঞ স্প্যানিশ কোচ রাফা বেনিতেজও। জোসে মরিনহো দ্বিতীয়বারের মতো চেলসির দায়িত্ব নিয়েও বেশিদিন টিকতে পারেননি। ২০১৩-১৫ মৌসুম কোচিং করানোর পর তিনিও ছাঁটাই হন দলকে ভালো অবস্থায় না নিতে পেরে।
মাঝে অ্যান্তনিও কন্তে, মাউরিজিও সারি, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডও ছিলেন চেলসির দায়িত্বে। ২০১৯ সালে নতুন মালিক পায় চেলসি। আমেরিকান ব্যবসায়ী টড বোয়েলি মালিক হওয়ার পরও সেই কোচ ছাঁটাইয়ের পরমপরা বদলায়নি চেলসির। জার্মান কোচ টমাস টুখেল এসে অবশ্য দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন ক্লাবকে। তার অধীনে চেলসি দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতে। এছাড়াও সুপার কাপও জেতে চেলসি। তবে ২০২২ সালের মৌসুমটা ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি টুখেল। যার কারণে হঠাৎ তাকে বরখাস্ত করা হয়।
আর গত তিন মৌসুমে তো চারজন কোচকে ছাঁটাই করে চেলসি। এবার ছাঁটাই হলেই পচেত্তিনো। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কোচকে দায়িত্ব দেবে চেলসি। এরই মধ্যে কিছু কোচের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কতদিন টিকতে পারবেন সেই নতুন কোচ।