ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অনাগত সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানিয়ে বিপদে ইউটিউবার

অনাগত সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় ফাঁস করা ভারতে শুধু নিষিদ্ধই নয়, এর জন্য সুনির্দিষ্ট শাস্তিরও বিধান রয়েছে। ১৯৯৪ সালে জন্মের আগে শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি আইন চালু করা হয়।
  • | ২২ মে, ২০২৪
অনাগত সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানিয়ে বিপদে ইউটিউবার ইরফান শারদ ও তার স্ত্রী

স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে— তা জন্মের আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভ্লগার ইরফান শারদ। আর তাতেই পড়েছেন বিপদে। কারণ ভারতে জন্মের আগে সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানা নিষিদ্ধ।

ইরফান শারদ খাবারের ভ্লগ তৈরি করেন। তার ইউটিউব চ্যানেলে ৪২ লাখ ৯০ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে।

ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ায় সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানার জন্য সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যান ইরফান শারদ ও তার স্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার (২২ মে) জানায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে অনাগত সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা জানিয়ে দেন ইরফান। ভিডিওতে একটি ডাক্তারি পরীক্ষার ফুটেজও দেখান তিনি। ভিডিওটি প্রায় ২০ লাখ ভিউ হয়েছে।

আর এতেই বিপদে পড়েছেন তামিলনাড়ুর ইউটিউবার ইরফান শারদ। কারণ অনাগত সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় ফাঁস করা ভারতে শুধু নিষিদ্ধই নয়, এর জন্য সুনির্দিষ্ট শাস্তিরও বিধান রয়েছে। ভারত সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেন লিঙ্গগত কারণে কোনো শিশু গর্ভপাতের শিকার না হয়।

ভারতে এক সময় অসংখ্য বাবা-মা তাদের কন্যাশিশুকে গর্ভে থাকা অবস্থায় নষ্ট করে ফেলতেন। এর ফলে ভারতের জনসংখ্যায় লিঙ্গ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে ১৯৯৪ সালে জন্মের আগে শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি আইন চালু করা হয়। ওই আইনের আওতাতেই এবার ইউটিউবার ইরফান শারদকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগ।

নোটিশে বলা হয়েছে, আইনি ব্যবস্থা হিসেবে প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ইরফানকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই ধরনের পদক্ষেপ শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে নয়, সারা দেশেই কন্যা সন্তানের জন্ম হ্রাস করতে পারে।

শুধু তাই নয়, তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগ ভিডিওটি ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে ফেলার জন্য সাইবার নিরাপত্তা উইং এবং পুলিশের কাছেও চিঠি দেয়।

যদিও ইউটিউবার ইরফান শারদ জানান, তিনি ইতিমধ্যেই ভিডিওগুলো সরিয়ে নিয়েছেন। আর স্বাস্থ্য বিভাগের নোটিশ হাতে পৌঁছালে, তিনি এটির জবাব দেবেন।