ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অবহেলা-অব্যবস্থাপনায় ঝিনাইদহে দেড় মাসে ৮ প্রসূতির মৃত্যু

অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় ঝিনাইদহে বাড়ছে প্রসূতি মা এর মৃত্যু। তথ্য মিলেছে, গত দেড় মাসে মারা গেছেন ৮ জন।
  • | ২৪ মে, ২০২৪
অবহেলা-অব্যবস্থাপনায় ঝিনাইদহে দেড় মাসে ৮ প্রসূতির মৃত্যু সংগৃহীত

অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় ঝিনাইদহে বাড়ছে প্রসূতি মা এর মৃত্যু। তথ্য মিলেছে, গত দেড় মাসে মারা গেছেন ৮ জন। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসার নামে রমরমা ব্যবসায় নেমেছে বেসরকারি ক্লিনিক মালিকরা।


৪৫ ঊর্ধ্ব মা হারিয়েছেন সন্তান। পৃথিবীর আলো দেখা সদ্য নবজাতক হারিয়েছে মাকে। সন্তান হারা শোক হয়তো মা কাটিয়ে উঠবেন কিন্তু মায়ের কোল হারা শিশুটি কি করবে। প্রসব বেদনা নিয়ে বাসিদেবপুরের গৃহবধূ নাসরিন গত ৬ মে ভর্তি হন জেলা শহরের তাসলিম ক্লিনিকে। সিজারের মাধ্যমে তিনি জন্ম দেন একটি ছেলে সন্তানের। কিন্তু পরদিন হঠাৎই মারা যান নাসরিন।


এদিকে মা'হীন বাবার আদরে বড় হচ্ছে জেলার তৈলটুপি গ্রামের ৭ বছরের সাফি। কেননা গত ২৯ মার্চ দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে দারুস শেফা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধূ লাভলী। সিজারের সময় শুরু হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। অবস্থা বেগতিগ দেখে যশোরে রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে।


নাসরিন কিংবা লাভলী নয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর অপচিকিৎসায় জেলায় গত দেড় মাসে ৮ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। যার দায় প্রতিবারই নিতে নারাজ সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তরা।


এরমধ্যে অনেক ক্লিনিকই চলছে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই। সচেতন মহলের দাবি, সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ বিভাগের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, অভিযোগ পাওয়া সব ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার আমরা এখনও সিলগালা করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইটি ক্লিনিককে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখতে চিঠি দেয়া হয়েছে।


ঝিনাইদহ জেলায় ১৭৯টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যার মধ্যে ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনিবন্ধিত।