পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আবাসিক রিলাক্স হোটেল থেকে ইদ্রিস (৫২) নামের এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২৪ মে) সকালে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ৩২ নম্বর একটি ডাবল বেডের রুমের থেকে ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের রশি প্যাঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইদ্রিস উপজেলার সোহাগদল গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত আব্দুর রউফের বড় ছেলে। উপজেলার মিয়ারহাটে তার দুটি গার্মেন্টসের দোকান রয়েছে।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।
হোটেলের ম্যানেজার জুয়েল বলেন, ‘গত ২২ মে বিকেলে তারা হোটেলে ওঠে দুজনের থাকার কথা বলে। তিনি একটি ডাবল রুমের বেড ভাড়া নেন। হোটেলে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে ভাড়া নিতেন ম্যানেজার জুয়েল। ২৩ মে সন্ধ্যার পরে তিনি রুমের ভাড়ার জন্য দরজায় নক করেন। এ সময় ভিতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে চলে যান।
শুক্রবার সকালে আবারও রুমে গিয়ে দরজায় নক করলে তখনও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় জোরে দরজা ধাক্কা দিলে একটু ফাঁকা হয়ে যায়। তখন বাহির থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়।
দোকানের কর্মচারী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস মিয়া গত ২২ মে রাতে দোকান থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়েছেন। পরে গত ২৩ মে রাতে তারা ইদ্রিসের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইদ্রিসের স্ত্রী মাহমুদা বলেন, ‘গত ২২ মে সকালে বোনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। তারপর দুইদিন পর্যন্ত বাসায় আসেনি। ২৪ মে সকালে জানতে পারি থানা সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এইচ এম শাহীন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।