ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আমি বাবাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখতে চাই

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ‘আমি বাবাকে শেষবারের মতন ছুঁয়ে দেখতে চাই। কতটা কষ্ট পেয়েছে বাবাকে দেখে একটু বুঝতে চাই।
  • | ২৪ মে, ২০২৪
আমি বাবাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখতে চাই এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ‘আমি বাবাকে শেষবারের মতন ছুঁয়ে দেখতে চাই। কতটা কষ্ট পেয়েছে বাবাকে দেখে একটু বুঝতে চাই। একজন মানুষকে কী করে এমনভাবে মারতে পারে? এভাবে বাবাকে কেটে কেটে টুকরো করা হয়েছে জীবনেও ভুলতে পারব না।


আজ শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নিজেদের বাসায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 


মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, ‘ওপরে যদি আল্লাহ থাকে তাহলে আমার বিশ্বাস তিনি বিচার করবেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অনেক দিন ধরেই তারা পরিকল্পনা করেছেন। তারা সাজিয়ে-গুছিয়ে নিয়েই এই ধরনের বড় একটা অপরাধ ঘটিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত করেন, কারা আছেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে।


এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাদের নাম এসেছে তাদেরকে বিদেশ থেকে নিয়ে আসার কথা জানান এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘কান টানলে মাথা আসবে। যদি তাদের ওপরেও কেউ থেকে থাকেন তার নামটিও খতিয়ে দেখেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তদন্ত করে বিষয়টি দেখুন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক যেটাই হোক না কেন বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।


তিনি বলেন, ‘ইসলামে আছে মৃতদেহকে আস্তে আস্তে গোসল করাও, আস্তে আস্তে কাপড় পরাও যেন ব্যথা না পায়। আর এভাবে আমার বাবাকে কেটে কেটে টুকরো করা হয়েছে জীবনেও ভুলতে পারব না।


মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোনে বলেছেন “ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে ধৈর্য ধরো আমি সঙ্গে আছি।” তিনি আমাকে বলেছেন “তুমি তোমার বাবার সন্ধান চেয়েছিলে স্পেশাল ফোর্স পাঠিয়ে আমি তোমার বাবাকে খুঁজে দিয়েছি। আমি আর কী করব বলো? আমি খুঁজে দিয়েছি পুলিশ তদন্ত করছে প্রতিবেদন এলে পদক্ষেপ নেব।


এর আগে গত ১২ মে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য দর্শনার গেদে বন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতায় যান। ২২ মে তার মৃত্যুর বিষয় জানাজানি হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছান।


 এ সময় আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা আনারের বাসার সামনে এসে উপস্থিত হন এবং মুমতারিন ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলেন।