ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যেসব রোগের ঝুঁকি কমায় অলিভ অয়েল

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অনেকেই এখন রান্নায় সয়াবিন তেল ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
  • | ২৫ মে, ২০২৪
যেসব রোগের ঝুঁকি কমায় অলিভ অয়েল ফাইল ছবি

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অনেকেই এখন রান্নায় সয়াবিন তেল ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। সয়াবিন তেলের পরিবর্তে এখন অনেকেরই পছন্দ সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার। আবার অনেকেই পছন্দ করছেন অলিভ অয়েলকে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নায় নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহারে ঝুঁকি কমে বেশকিছু জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার।


অলিভ অয়েল তেল সর্বপ্রথম ব্যবহার করা শুরু হয় ভূমধ্যসাগরীয় সভ্যতায়। এর মধ্যে বলা যায়, রোমান এবং গ্রিকদের নাম। বহু শতাব্দী ধরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আসছে তারা।


অলিভ অয়েলের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হিসেবে ধরা হয় একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এর যথেষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল সমৃদ্ধ, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই জেনেটিক্স স্বাস্থ্য এবং আয়ুষ্কালের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে এটি।

 

রান্নায় অলিভ অয়েলঅয়েল ব্যবহার করাকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। আমেরিকান হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জেনে নিই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।


 এগুলো হলো-


১। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ অনেক দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য জটিলতার অগ্রদূত। বর্তমান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেয় যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল রক্তচাপ কমাতে পারে। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ হওয়ায় অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ ওষুধের দৈনিক ডোজও কমাতে পারে এই তেল।

 

২। ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ: ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এর জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলে পাওয়া পলিফেনল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে এবং ক্ষত নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে।

 

৩। অ্যালঝাইমার্স প্রতিরোধ: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ বা উপাদান অ্যালঝাইমার্স প্রতিরোধেও সাহায্য করে।



৪। ক্যানসার: সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভার্জিন অলিভ অয়েল খেলে ক্যানসার কোষের গ্রোথ কমে। এই তেলে থাকা প্ল্যান্ট অক্সিডেন্ট, পলিফেনাল, মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট অ্যান্টি ক্যানসার হিসেবে কাজ করে ব্রেস্ট ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

 

৫। ত্বকের সমস্যা কমায়: এই তেল ইভিওও অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যগুলি সরবরাহ করে যা সূর্যের ক্ষতি দ্বারা প্ররোচিত ত্বকের ফটোজিং কমাতে পারে। কারণ এতে প্রচুর স্কোয়ালিন রয়েছে।

 

৬। জটিল রোগ: তীব্র প্রদাহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, জয়েন্টে ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণ। অলিভ অয়েলে পাওয়া পলিফেনল উপাদানটিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে পারে এবং অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়া, সংক্রমণ এবং আঘাতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।


৭। ওবেসিটি বা মুটিয়ে যাওয়া রোধ: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কোলেস্টেরল কমায়। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস যা ওজন কমানোতে দারুণ কার্যকর। তাই ওবেসিটি বা মুটিয়ে যাওয়া রোধে রান্নায় অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 

৮। হৃদরোগ: দীর্ঘমেয়াদী এ তেলের ব্যবহার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে দৈনন্দিন রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলকে অগ্রাধিকার দিন।

 

৯। স্ট্রোক: অলিভ অয়েল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের একমাত্র উৎস যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসের পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।


১০। ডায়াবেটিস টু: অলিভ অয়েলকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক বলে মনে হয়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় অলিভ অয়েলকে রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিন সংবেদ নশীলতার উপর উপকারী বলে গণ্য করা হয়েছে।