ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা কেন অবৈধ নয়

ব্যাপক আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’ সিলগালা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
  • | ২৭ মে, ২০২৪
‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা কেন অবৈধ নয় ফাইল ছবি

ব্যাপক আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’ সিলগালা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।


তনির করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২৭ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১০ দিন পর রুলের পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন শোরুম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।


আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

 

এর আগে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে হয়রানি করার অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার (২১ মে) তনির পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান।


রিট পিটিশন থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিলের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভিস বাই তনি’র প্রধান শোরুমে গত ১২ মে অভিযান চালান অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। ওই দিন তার শোরুম সিলগালা করে দেয়া হয় এবং অভিযোগের শুনানির জন্য তনিকে অধিদফতরে হাজির হতে বলা হয়। পরবর্তীতে ১৪ মে দুই দফায় ৫০ হাজার ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তনিকে।


এছাড়া আরও জানা যায়, লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর (পেশায় আইনজীবী) অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানবিস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করেন। বাকি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় রাজু নামের অপর এক ক্রেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।


এ ব্যাপারে তনির আইনজীবী সময় সংবাদকে জানান, নিয়মানুযায়ী যে কোনো পণ্য কেনার ৩০ দিনের মধ্যে সে পণ্যের ব্যাপারে ভোক্তা অধিদফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে হবে। তা না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। কিন্তু লুবনা নামের যে ক্রেতার অভিযোগ তা করা হয়েছে প্রায় ২ মাসের কাছাকাছি সময়ে।


তাছাড়া তনির কাছে জরিমানা আদায়ের রশিদ বাদে কোনো আদেশের কপি কিংবা নোটিশ দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি ভোক্তা অধিদফতর। এক্ষেত্রে তনিকে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর সুযোগ না দেয়ার কথাও জানান এই আইনজীবী।


তিনি আরও বলেন, সমস্ত প্রক্রিয়াটিতেই আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। এমনকি এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রিট করলে অধিদফতর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তনির অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও নজরদারি শুরু করেন। কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই তারা এধরনের একটি পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা- সে ব্যাপারেই আইনি সমাধান চাচ্ছেন তনি। এছাড়া এখন তারা এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি করেছে। তবে তাকে শাস্তি দেয়ার পর কেন তদন্ত কমিটি গঠন হবে- সে প্রশ্ন থেকেই যায়। এরইমধ্যে তনির ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী খালেকুজ্জামান।


জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এব্যাপারে আগেই কোনো ধরনের মন্তব্য করবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা মহাপরিচালক।