২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সমর্থনে জার্সি গায়ে সংবাদ উপস্থাপনা করেন সময় টেলিভিশনের উপস্থাপিকা। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে বিশেষ এক উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস।
আর্জেন্টিনার জাতীয় দিবসে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হয় সংবাদ উপস্থাপিকাকে। আকাশী নীলদের জন্য আগামীতেও এমন সমর্থনের প্রত্যাশা বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ। পুরো বিশ্ব যখন বিশ্বকাপ ফুটবলে বুঁদ তখন একই চিত্র বাংলাদেশেও। প্রিয় দল আর্জেন্টিনার সমর্থনে দূরত্বটাও যেখানে হয়নি বাধা। ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব ছাপিয়ে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা গলা মিলিয়েছে একই সুরে।
মেসি, ডি মারিয়াদের সমর্থনে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে এক খন্ড আকাশী নীল। প্রিয় দলের সমর্থনে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে বাংলাদেশি সংবাদ উপস্থাপিকা গায়ে জড়িয়েছেন নীল সেই জার্সিটা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সমর্থনে সংবাদ উপস্থাপিকার সেই উদ্যোগ বাংলাদেশ ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। আর্জেন্টিনার শীর্ষ গণমাধ্যম দারিও ওলে, টিওয়াইসি স্পোর্টসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রচার করে সেই মুহূর্ত। আকাশী নীল দেশে বাংলাদেশ নিয়ে তৈরি হয় ভিন্ন এক আবহ। এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সমর্থনে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত আর্জেন্টিনার দূতাবাস।
আর্জেন্টিনার জাতীয় দিবসে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে সময় টেলিভিশনের সাংবাদ উপস্থাপিকা। দূতাবাসের অনুষ্ঠানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তিন তারকা জার্সিসহ বিশেষ উপহার দেয়া হয় উপস্থাপিকাকে।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে বিশ্বকাপের সংবাদ উপস্থাপনের কিছু দৃশ্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। এমন উদ্যোগে বাংলাদেশের-আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রীতি বিশ্বদরবারে ফুটে উঠেছে বলে বিশেষ ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত এইচ ই মার্সেলো চিয়েসা।সামনেও এমন সমর্থনের প্রত্যাশা তার।
তিনি জানান, বিশ্বকাপে তার এমন উপস্থাপনা আর্জেন্টিনার সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল তাকে বিশেষ কোনো সংবর্ধনা দেয়ার। এবার আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি। তাই আমরা সেটা হাতছাড়া করতে চাইনি। তাজিনকে অনেক ধন্যবাদ, তার এমন উদ্যোগের জন্য। আমি আশা করি, আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশের সম্পর্ক এভাবেই এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, 'আর্জেন্টিনার কাছে আমরা খেলারধুলার যে সকল কৌশল আছে, সে সবের প্রশিক্ষণের সুযোগ আমরা নেব। তারাও কৃষিক্ষেত্রে খুবই ভালো কাজ করছে, তাদেরটা যদি আমাদের চেয়ে আরও ভালো হয়, আমরা অবশ্যই সে নীতি-কৌশল, বিজ্ঞান কাজে লাগাতে চেষ্টা করব।'
পাকিস্তান, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।