অর্থের মাধ্যমে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে যৌনকর্ম করায় ফ্রান্সে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই কারাদণ্ডকে বিরল হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে কারণ ফ্রান্সে এ ধরনের ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় না।
ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী, অর্থের মাধ্যমে যৌনকর্ম করা বৈধ। তবে কারও দুর্দশার সুযোগ নিয়ে যৌনকর্ম এবং অর্থ প্রদান করা অবৈধ। যদি অপ্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে কেউ যৌনকর্ম করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের একটি আদালত গতকাল বুধবার পাঁচ পুরুষকে ১৮ মাস করে কারাদণ্ড দেন। যার মধ্যে ১২ মাসের কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে।
এই কিশোরী গত বছরের নভেম্বরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সে পতিতাবৃত্তিকে বেঁছে নেয়।
ওই কিশোরীর এক খদ্দেরই পুলিশকে এ ব্যাপারে অবহিত করেন। তিনি জানান, যখন তিনি কিশোরীটির কাছে যান তখন তিনি দেখতে পান তার বয়স খুবই কম। পরবর্তীতে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই পাঁচ পুরুষকে শনাক্ত করে। এই পাঁচজন প্যারিসের দুটি হোটেলে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন।
আদালতে অভিযুক্ত পাঁচজন দাবি করেছেন, তারা বুঝতে পারেননি এ কিশোরীর বয়স যে এত কম। কারণ তারা তার সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন রুমে দেখা করেছেন এবং সে মেকাপ পরা ছিল।
৩২ বছরী অভিযুক্ত এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেছেন, “খুবই দুঃখিত কারণ সে এ ধরনের পরিস্থিতি পড়েছে। আমার ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে কখনই পতিতাবৃত্তিতে দেখতে চাইতাম না।”
২৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত এক গাড়ির মেকানিক বলেছেন, “ঘরটি খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন যে কিছু বলতে পারিনি। খুব অন্ধকার ছিল। ঘরের লাইট নিভু নিভু ছিল। সে মেকাপ পরে ছিল। তার বয়সের বিষয়টি আমার মাথায় আসেনি।”
অভিযুক্তরা দাবি করেছেন তারা একটি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখে এসেছিলেন। যেখানে বলা হয় তাদের সেবা দেবে ১৯ থেকে ২৩ বছর বয়সী তরুণীরা।
তবে এক অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি ওই কিশোরীর কাছে গিয়েও তার বয়স বুঝতে পেরে যৌনকর্ম করেননি। কিন্তু তিনি ওই কিশোরীকে ৫০ ইউরো দিয়ে আসেন তিনি।
সূত্র: এএফপি