ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রিয়ালের ১৫ নাকি ডর্টমুন্ডের ২

রিয়াল মাদ্রিদের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ তিন বছরে তারা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলতে নামছে ১৫তম শিরোপার লক্ষ্যে। ডর্টমুন্ডের লক্ষ্য দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
  • | ০১ জুন, ২০২৪
রিয়ালের ১৫ নাকি ডর্টমুন্ডের ২ সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ তিন বছরে তারা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলতে নামছে ১৫তম শিরোপার লক্ষ্যে। ডর্টমুন্ডের লক্ষ্য দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া।তাই ফাইনালের লড়াই নিয়ে রিয়ালের খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত উন্মাদনার কিছু নেই।


রিয়ালের জন্য লড়াইটা অন্য পাঁচটা ফাইনালের মতো হলেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর লড়াই। ২৭ বছর আগে প্রথম এবং শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা দলটা এবার নিঃসন্দেহে পাখির চোখ করছে ইউরোপসেরার ট্রফিকে। শিরোপার লড়াইয়ে নামার আগে সারপ্রাইজ প্যাকেজ প্রস্তুত করে রেখেছে দলটি।

ফাইনালের রাস্তায় বরুশিয়াকে বেশ ভালোভাবে সাহায্য করেছে তাদের ভাগ্য। চলতি আসরে মোট ১২ বার প্রতিপক্ষের শট ফিরেছে তাদের গোলপোস্টে লেগে। ফাইনালে এই ভাগ্যকে পাশে না পেলে বিপদে পড়তে পারে জার্মানরা।

তবে স্বস্তিতে নেই রিয়াল মাদ্রিদও। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আন্দ্রে লুনিনকে ফাইনাল ম্যাচে পাওয়া যাবে না। ফাইনাল ম্যাচেই এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে নামবেন থিবো কর্তোয়া। রিয়ালের চিন্তার কারণ হতে পারে রক্ষণভাগও। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এডার মিলিতাওয়ের ফিটনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। নাচো-রুদিগারের সেন্টার ব্যাক জুটিকে তাই বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে শুরু থেকে।

অন্যদিকে, রক্ষণটাই বড় শক্তির জায়গা বরুশিয়ার। অধিনায়ক ম্যাটস হামেলস আছেন দারুণ ছন্দে। ৩৫ পেরনো এই সেন্টারব্যাক সে ফর্ম ধরে রাখলে ফাইনালে এগিয়ে থাকবে ডর্টমুন্ড। গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলেও কম যান না। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে গ্লাভস হাতে সবচেয়ে বেশি সেইভ দিয়েছেন এই সুইস ফুটবলার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ধরে রেখেছেন সেই ফর্ম। তবে ফাইনালে ভিনিসিউস জুনিয়র-জুড বেলিংহামদের পরীক্ষা সামলাতে হবে তাকে।

রিয়াল শেষ ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনাল হারের পেরিয়ে গেছে প্রায় ৪৪ বছর। এরপর টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেছে, রিয়ালও হারিয়েছে ভিন্ন পাঁচ প্রতিপক্ষকে। এবার সে তালিকায় যোগ হতে পারে ষষ্ঠ ক্লাব। ১৪ টা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি কেবিনেটে থাকলেও এবারই প্রথম কোনো ম্যাচ না হেরে ফাইনালে উঠেছে দলটি। সুযোগ আছে বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় স্প্যানিশ ক্লাব হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও।

ম্যাচে আলাদা নজর থাকতে পারে রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়রের দিকে। ফাইনালের আগ পর্যন্ত এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচটি গোল এবং চার অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। লিগটির কোনো এক মৌসুমে এর চেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখার রেকর্ড আছে মাত্র একজনের। তিনি লুইস ফিগো। ব্রাজিলিয়ান তারকার সামনে সুযোগ এই তালিকায় আরও এগিয়ে যাওয়ার।

অন্যদিকে, বরুশিয়া ফাইনালে উঠেছে দলগত প্রচেষ্টায়। আলাদা করে কোন তারকা যে নেই তা বোঝাতে একটা পরিসংখ্যান যথেষ্ট। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলটার করা ১৭ গোলে স্কোরশিটে নাম উঠিয়েছেন ১২ জন। সর্বোচ্চ স্কোরার নিকলাস ফুলক্রুগ, তার গোল সংখ্যা তিনটি।

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এই ‍দুই ফাইনালিস্ট মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৪ বার। যেখানে রিয়াল জিতেছে ছয়বার, ডর্টমুন্ড তিনটি, ড্র হয়েছে পাঁচ ম্যাচ। ওয়েম্বলির ম্যাচের আগে লুনিনের অসুস্থতা, আলাবার ইনজুরি আর চুয়েমিনির না থাকা আগেই নিশ্চিত করেছেন কার্লো। অন্যদিকে, বরুশিয়ার স্কোয়াডে একমাত্র অনুপস্থিতি সেবাস্তিয়ান হলারের।