ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তৃতীয় মেয়াদে জিতে গেলে যা করবেন মোদি

বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে ফসলের জন্য সরকারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করার পরিকল্পনার ঘোষণা রয়েছে।
  • | ০১ জুন, ২০২৪
তৃতীয় মেয়াদে জিতে গেলে যা করবেন মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের সরকারের অতীতের ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়া দেশটির প্রধান ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি দেশটির কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

বিজেপি সরকারের এক নথি পর্যালোচনা করেছেন ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি শিবাঙ্গী আচার্য ও সরিতা চাগন্তি সিং। সেই নথি অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের প্রশাসন আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রামীণ মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বাড়াতে চায়।

তিনি কৃষিতে কর্পোরেট বিনিয়োগ বাড়িয়ে এই খাতে সামগ্রিক বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে চান; যা বর্তমানে ১৫ শতাংশে রয়েছে। আর ২০৪৭ সালের মাঝে তা ৪০ শতাংশের বেশি করে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

এছাড়াও দেশটির ক্ষুদ্র শিল্পকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে অ-কৃষি খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে চান নরেন্দ্র মোদি।

দেশটির এই প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম মেয়াদে ২০১৬ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে বলেন, কৃষকদের আয় ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করবেন তিনি। কিন্তু তার সেই প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। চলতি মেয়াদের বিভিন্ন সময়ে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক আন্দোলন ব্যাপক বেকায়দায় ফেলে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকারকে। যে কারণে নতুন লক্ষ্যমাত্রাকে তুলনামূলক কম উচ্চাভিলাষী হিসেবে নেওয়া হলেও তৃণমূল পর্যায়ে তা নিয়ে জনগণের মাঝে সন্দেহ রয়েছে।

এই খাতে কর্পোরেট বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিজেপি সরকারের কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা আছে কি না তা নথিতে দেখা যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ থেকে গম, চাল এবং পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ করেন। দেশীয় বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়; যা কৃষকদের আয়ে আঘাত হানে।

নরেন্দ্র মোদির এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে ফসলের জন্য সরকারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করার পরিকল্পনার ঘোষণা রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি