ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালের আজকের এই দিনে ৮৮ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ মঙ্গলবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন রাখা হয়েছে। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে বেলা ১১টায় মুহিতের কবর জিয়ারত করা হবে।
২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের পরের বছর দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নিযুক্ত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আবদুল মুহিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হল ছাত্রসংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মুহিত। সক্রিয় ছিলেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও। মুক্তিযুদ্ধের সময় সরকারি চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং পাকিস্তান পরিচালিত জেনোসাইডের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২৫ বছরের সরকারি চাকরি জীবনে তিনি একাধিক শীর্ষ পদে নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগ দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭২ সালে মুহিত বাংলাদেশের পরিকল্পনা সচিব, ১৯৭৪ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক, ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শে ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকোনমিক মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বর্তমান সিলেট শহরের ধোপা দিঘিরপাড়ে বাবার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ছিলেন তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের নেতা। মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ছিলেন সিলেট মহিলা মুসলিম লীগের সহসভানেত্রী।