লালমনিরহাটের অজপাড়া এক গ্রামে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একটি গরু। নাম রাখা হয়েছে `জায়েদ খান'। সাড়ে ৮ ফিট লম্বা জায়েদ খানের ওজন প্রায় ২৪ মণ। 'জায়েদ খান' কে কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন পাইকাররা। এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, 'জায়েদ খান' প্রতিদিন ঘাস, খড় ও ভুষিসহ মোট ২০ কেজি খাবার খায়। বর্তমানে জায়েদ খানের বয়স সাড়ে ৩ বছর। তবে প্রায় ২ বছর ধরে লোকবলের অভাবে ঘর থেকে বের করা সম্ভব হয়নি। এবার কোরবানির ঈদে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা জায়েদ খানকে।
গরুর পরিচর্যাকারী লেবুর হোসেন বলেন, প্রতিদিন তিনি গরুটিকে ২ থেকে ৩ বার গোসল করান। তবে তিনি ঘর থেকে গরুটিকে একা বের করতে পারেন না।
কারণ গরুটি বের করতে হলে ১০ থেকে ১২ জন লোক লাগে। তাই প্রায় ২ বছর ধরে ঘরের ভিতরে রেখেই গরুটি লালনপালন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত গরুটিকে ক্রয়ের জন্য কুমিল্লা, যশোর, বরিশাল ও খুলনা থেকে পাইকাররা নিয়মিত আসছেন।
গরুটির মালিক আয়কর আইনজীবী মজমুল হোসেন প্রামাণিক বলেন, তিনি গরুর খামারি নন। শখ করে পোষা শুরু করে এ গরুটি। যখন জানতে পারেন এটি বড় জাতের গরু, তখন সে নিয়ত করেন এ গরু বড় করে বিক্রি করবেন।
তিনি আরও বলেন, জায়েদ খানকে বিক্রি করে যে টাকা হবে তা দিয়ে মা, ভাইকে নিয়ে ওমরা হজ্বে যাব। আর এ জন্য আমি গরুটিকে মোটাতাজাকরণের জন্য কোন প্রকাশ ওষুধ খাওয়াইনি। আর আশা এবার কোরবানির ঈদে 'জায়েদ খান' কে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করার।